প্রকাশ : ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ২১:১৩
কেন্দ্রের সামনে থেকে দুই পরীক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে নির্মম নির্যাতন

হাজীগঞ্জের বলাখাল জেএন হাই স্কুল এন্ড কারিগরি কলেজ কেন্দ্রের সামনে থেকে দুই এসএসসি পরীক্ষার্থীকে তুলে নিযে নির্মম নির্যাতন করা হয়েছে। এর মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে। বোরবার (২৭ এপ্রিল ২০২৫) অনুষ্ঠিত পরীক্ষা শেষে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা করানো হয় এবং থানায় অভিযোগ করা হয়। আহতরা হলেন বাকিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বাণিজ্য বিভাগের ফাহিম ও রাযহান। দুজনই এদিন ফিন্যান্স বিষয়ে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। হাজীগঞ্জ পৌর এলাকার ধেররার জনি গং এ কাণ্ড ঘটায় বলে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীরা জানান।
জানা যায়, গত শনিবার বিকেলে বাকিলা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। ধেররা বনাম বাকিলার মাঝে অনুষ্ঠিত খেলায় ধেররার পক্ষে খেলতে আসা একজনের সাথে বাকিলার এক যুবকের পুরানো বিষয় নিয়ে মাঠে কথা কাটাকাটি হয়।
সে ঘটনার জেরে রোববার পরীক্ষা শেষে বাকিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের দু এসএসসি পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষা শেষে কেন্দ্রের বাইরে থেকে তুলে ধেররায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদেরকে বেদম মারধর করে গুরুতর আহত করা হয়।
ফাহিম ও রায়হানকে মারধর করাকালে তাদেরকে চাপ প্রয়োগ করে বলা হয়, শনিবার খেলার সময় তাদেরকে (ধেররার ছেলেদের) বাকিলায় যারা মেরেছে তাদেরকে খবর দিয়ে ধেররা আসতে বলো।
গুরুতর আহত শিক্ষার্থী ফাহিম জানান, শনিবার বিকেলে বাকিলা মাঠে কী হয়েছে আমি জানিই না। অথচ পরীক্ষা শেষে জনিসহ ৪ জনে মিলে জোর করে আমাকে সিএনজিতে করে ধেররা নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে আরো কয়েকজনকে ফোন করে তারা ৮/১০ জন জড়ো হয়। এর পরেই তাদের একজনের কোমরের বেল্ট খুলে আমাকে বেদম মারধর করে। এ সময় কয়েকজন মুরুব্বি এসে তাদের হাত থেকে আমাকে ছাড়িয়ে নিয়ে সিএনজিতে তুলে বাকিলা পাঠিয়ে দেয়।
বাকিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মজিবুর রহমান জানান, কোনো কারণ ছাড়া আমাদের দুই পরীক্ষার্থীকে ধেররায় নিয়ে মারধর করে। পরে আমরা আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়ে চিকিৎসা করাই। এর পরেই আমরা আইনানুগ ব্যবস্থায় যাবো।
বলাখাল জেএন উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কারিগরি কলেজের কেন্দ্র সচিব খোদেজা বেগম জানান, বিষয়টি বাকিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কিছুক্ষণ আগে জানিয়েছেন, তবে বিস্তারিত জেনে জানাবো। পরে এই অধ্যক্ষকে একাধিকবার ফোন দিলে তিনি আর রিসিভ করেননি।
হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইবনে আল জায়েদ হোসেন জানান, এ বিষয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আইনী ব্যবস্থাগ্রহণের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।