প্রকাশ : ২২ এপ্রিল ২০২৫, ২১:১৯
ধনাগোদার ভাঙ্গনে চরমাছুয়া গ্রাম ও ফসলি জমি

মতলব উত্তরের মেঘনা- ধনাগোদা সেচ প্রকল্প আজ হুমকির মুখে। এই সেচ প্রকল্প ঘেঁষা ধনাগোদা নদীর তীরবর্তী নদীভাঙ্গনে বিলীন হচ্ছে ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের চরমাছুয়া গ্রামের বাড়িঘর ও ফসলি জমি। নদী শাসনের জন্যে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণে গ্রামের সর্বস্তরের নারী-পুরুষ নদীর পাড়ে জড়ো হয়। নদীর সংরক্ষণের দাবি জানান গ্রামবাসী।
ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের প্রায় ১ কিলোমিটারব্যাপী শত শত একর জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। প্রতিদিনই নদীর তীর ভেঙ্গে নিচ্ছে বাদাম, ভুট্টা, ধান ক্ষেত। সফিকুল ইসলাম বলেন, আমার ভুট্টা ক্ষেত নদী গর্ভে চলে গেছে।
জানা যায়, ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের চরমাছুয়া গ্রামের বিভিন্ন স্থাপনা, ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বেশ কিছু এলাকায় আবার নতুন করে ভাঙ্গা শুরু হয়েছে। এতে আতঙ্কে রয়েছে তিন গ্রামের প্রায় ৫ হাজার বাসিন্দা।
স্থানীয় বাসিন্দা ও ফরাজীকান্দি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, গত সপ্তাহ থেকে নতুন করে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের কোনো নজর নেই। ভাঙ্গন রোধে দ্রুত পানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (পাউবো)-এর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যে অনুরোধ জানান তিনি। এছাড়া
মোহাম্মদ হোসেন, ইসমাইল মল্লিক, খলিল মোল্লা, মোহাম্মদ হোসেন মীর, নুরুজ্জামান দেওয়ান, রাব্বানী দেওয়ান, ৯নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি রাজিব মল্লিক, ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সিয়াম তপাদারসহ অনেকে বক্তব্য রাখেন।
মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলীর মো. সেলিম শাহেদ বলেন, বিষয়টি সাংবাদিকদের মাধ্যমে জেনেছি। সরজমিনে পরিদর্শন করে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।