প্রকাশ : ২০ এপ্রিল ২০২৫, ২২:১৩
ফরিদগঞ্জে রামদা হাতে ভয়ঙ্কর যুবক

মাথায় কালো কাপড় বেঁধে খালি গায়ে ভয়ঙ্কর দৃশ্য ধারণ করে এক যুবক। তার এক হাতে রামদা। আরেক হাতে ছোরা। নিজ বাসার সোফায় বসে প্রাণনাশের হুমকি-ধমকিসহ অশ্লীল ভাষায় গালাগাল।
এমন দৃশ্য গত দু’দিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ঘুরছিল। ভাইরাল হওয়া সেই দৃশ্য পুলিশের চোখেও পড়ে।
কিন্তু কোথায় থেকে এমন ঘটনা শুরু তার কিনারা করতে একটু সময় নিতে হয় পুলিশকে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি ওই যুবকের।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল ২০২৫) সকালে ফরিদগঞ্জ উপজেলার মদনেরগাঁও এলাকা থেকে আটক করা হয় মেহের উল্লাহ (২২) নামে ওই যুবককে।
ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহ আলম জানান, মেহের উল্লাহ তার আপন ফুফাতো ভাই নূর নবীকে পূর্ব বিরোধের জেরে বিভিন্ন সময় হুমকি-ধমকি দিয়েছিল। বিষয়টি গুরুত্ব না দিয়ে হালকাভাবে নিয়েছিলেন নূর নবী। তবে এবার সেই বিরোধ চাঙ্গা করতে মামাতো ভাই মেহের উল্লাহ ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেন।
পুলিশের এ কর্মকর্তা আরো জানান, নিজ বাসার সোফায় বসে মাথায় কালো কাপড় বেঁধে খালি গায়ে ভিডিও ধারণ করেন মেহের উল্লাহ। এ সময় তার এক হাতে রামদা আরেক হাতে ছোরা নিয়ে প্রাণনাশের হুমকি ধমকির সঙ্গে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন ফুফাতো ভাই নূর নবীকে। আর এমন দৃশ্য ধারণ করে সেই ভিডিও ছেড়ে দেয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। বিষয়টি পুলিশের নজরে পড়ে।
এদিকে, এরই মধ্যে নূর নবী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। যার প্রেক্ষিতে উপ-পরিদর্শক আরিফুর রহমান একদল পুলিশ নিয়ে মদনেরগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত মেহের উল্লাহকে আটক করে।
অন্যদিকে, এই ঘটনায় অভিযুক্ত মেহের উল্লাহকে আটকের পর থানায় নিয়মিত মামলা হয়। এতে প্রাথমিকভাবে পুলিশের কাছে ঘটনার দায় স্বীকার করেন মেহের উল্লাহ। পরবর্তীতে শুক্রবার বিকেলে অভিযুক্ত মেহের উল্লাহকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
আলোচিত যুবক মেহের উল্লাহ মদনেরগাঁও এলাকার হাবিব গাজীর ছেলে। সূত্র : কালের কণ্ঠ।