প্রকাশ : ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৯:৫১
এডুটেক এশিয়ার সম্মেলনে বাংলাদেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন ড. মো. সবুর খান
বাংলাদেশের স্বনামধন্য প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং ইউনিভার্সিটিজ অব দ্যা এশিয়া অ্যান্ড দ্যা প্যাসিফিক (এইউপিএফ)-এর প্রেসিডেন্ট ড. মো. সবুর খান, বহুল পরিচিত ‘এডুটেক এশিয়া-২০২৪’-এর আন্তর্জাতিক সম্মেলনে একজন আলোচক হিসেবে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের দুটি সেশনে অংশগ্রহণ করেন। শিক্ষা খাতে প্রযুক্তিগত ও বাস্তবিক পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে এ বছর এই সম্মেলনে প্রায় ৮ হাজারের বেশি শিক্ষাবিদ ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ অংশগ্রহণ করেন। সম্মেলনের এই সেশনগুলোতে ড. মো. সবুর খান উপস্থিত শিক্ষাবিদ ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের উদ্দেশ্যে আধুনিক শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন ও ব্যবহারের বিভিন্ন দিক নির্দেশনাও উপস্থাপন করেন। ৬ ও ৭ নভেম্বর-২০২৪ সিঙ্গাপুরের স্যান্ডস এক্সপো এন্ড কনভেনশন সেন্টারে তিনদিনব্যাপী (৫-৭ নভেম্বর) এই সম্মেলনের দুটি সেশনে বাংলাদেশের শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতের অন্যতম বিশেষজ্ঞ হিসেবে ড. মো. সবুর খান অংশগ্রহণ করেন। ‘সংস্কৃতির পরিবর্তন এবং ডিজিটাল রূপান্তরকে স্টেকহোল্ডাররাও সমর্থন করে’ শিরোনামে ৬ নভেম্বরের এই সেশনে তিনি আলোচনায় শিক্ষা খাতের নীতিনির্ধারকদের বর্তমান প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার ব্যাপারে দিক-নির্দেশনা দেন, যেখানে আন্তর্জাতিক স্বীকৃত ও সুপরিচিত অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নীতি নির্ধারকরাও আলোচনাও অংশ নেন। এছাড়া ৭ নভেম্বর ‘এআই-এর যুগে শিক্ষা মাধ্যম’ শিরোনামে আরও একটি সেশনে আলোচক হিসেবে অংশ নেন তিনি। ড. খান ছাড়াও এই সেশনে সিঙ্গাপুরের ‘এআই সিঙ্গাপুর’ প্রতিষ্ঠানের হেড অব এআইএএপি কেভিন চং, লোনোভো’র গ্লোবাল হেড অব এডুকেশন সিস্টেমস অ্যান্ড সলিউশনসের জেনারেল ম্যানেজার স্টুয়ার্ট কিং, মাইক্রোসফটের (এশিয়া) ওয়ার্ল্ড ওয়াইড পাবলিক সেক্টরের ডিরেক্টর এডুকেশন ইন্ডাস্ট্রি অ্যাডভাইজার রব স্মিথ এবং মালয়েশিয়ার মিনিস্ট্রি অব হাইয়ার এডুকেশন-এর ডিভিশন অব একাডেমিক এক্সিলেন্স-এর ডিরেক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. আজিদাহ আবু জিদেন আলোচনায় অংশ নেন। থাইল্যান্ডের সিয়ামিও স্টেম-এড-এর ডিরেক্টর ড. ক্রিটসাচাই সোমসামান এই সেশনটি পরিচালনা করেন। প্রযুক্তিগত উন্নয়ন দিন দিন আমাদের শিক্ষা খাতকে ক্রমশ আধুনিক ও পরিবর্তনশীল করে তুলছে। তাই শিক্ষা মাধ্যম ও প্রযুক্তির মধ্যে সমন্বয় ঘটাতে এশিয়ার সর্ববৃহৎ শিক্ষা সম্মেলন ও প্রদর্শনীর আয়োজন করে এডুটেক এশিয়া। এ বছরের সম্মেলনেও বিশেষজ্ঞ বক্তাদের মাধ্যমে বর্তমান যুগের সাথে পরিবর্তনশীল শিক্ষা ব্যবস্থার তুলনা এবং এর সাথে মানিয়ে নিতে যেসব দক্ষতা অর্জন প্রয়োজন তার নির্দেশনা পাওয়া যায়। এ জন্যে এই সম্মেলনে বিভিন্ন আলোচনা সভা বা সেশন ছাড়াও সর্বাধুনিক শিক্ষা প্রযুক্তির ও কন্টেন্টের প্রদর্শনী করা হয়। শিক্ষকরা যাতে এসব উদ্ভাবনের সঙ্গে দ্রুত এবং সহজে মানিয়ে নিতে পারেন, সেজন্যে ছিল বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা। ড. মো. সবুর খান তার সেশনে বলেন, আমি সবসময়ই বলে আসছি, আমাদের শিক্ষার্থীরাই সমাজ ও শিক্ষা ব্যবস্থার ইতিবাচক পরিবর্তনকারী। তারা তাদের প্রয়োজনে শিক্ষার পরিবেশ ও মাধ্যম প্রযুক্তির ব্যবহার পরিবর্তন করে নেয়ার সক্ষমতা রাখে। তাই এখন শিক্ষকদেরকেও নিজেদের প্রযুক্তিগত উন্নয়নের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়ার দক্ষতা অর্জন করতে হবে। শিক্ষকরা কিংবা নীতি নির্ধারকরা এ ক্ষেত্রে ব্যর্থ হলে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো অদূর ভবিষ্যতে টিকে থাকতে পারবে না। আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) এখন অনেক বেশি কার্যকর। তাই শিক্ষক এবং নীতি নির্ধারকদের এর সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে শিক্ষার্থীবান্ধব ক্লাসরুম বা শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিতের কোনো বিকল্প নাই। এডুটেক এশিয়া শুধুমাত্র বক্তব্য ও উপস্থাপনায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি সংলাপ ও সহযোগিতার একটি প্লাটফর্ম। বর্তমান এই প্রযুক্তির যুগে শিক্ষা খাতের আমূল পরিবর্তনে বিভিন্ন শিক্ষক-শিক্ষার্থী, নীতি নির্ধারক ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের মধ্যে সম্পর্ক এবং অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার জন্যে এই প্লাটফর্মটি কাজ করে যাচ্ছে। এশিয়ার সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষা খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানোর উদ্দেশ্যে দীর্ঘ ৯ বছর যাবত এই প্লাটফর্মটি কাজ করে যাচ্ছে।