প্রকাশ : ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ২০:৫৬
চাঁদপুরের সর্ববৃহৎ মাহফিল হবে এটি
শুক্রবার চরমোনাইর নমুনায় তিন দিনব্যাপী মাহফিল শুরু
৮ নভেম্বর শুক্রবার জুমার নামাজ আদায়ের মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে চরমোনাইর নমুনায় তিন দিনব্যাপী বিশাল মাহফিল। এই মাহফিলকে কেন্দ্র করে ব্যাপক প্রস্তুতি শেষ হওয়ার পথে। ধারণা করা হচ্ছে, চাঁদপুরের সর্ববৃহৎ মাহফিল হবে এটি। চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজার স্টার আল-কায়েদ জুট মিলস সংলগ্ন বালুর মাঠে আগামী ৮, ৯ ও ১০ নভেম্বর শুক্র, শনি ও রোববার ৩ দিনব্যাপী চরমোনাইর নমুনায় ঐতিহাসিক এই মাহফিলের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি চাঁদপুর জেলা শাখা।
|আরো খবর
মাহফিল বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব, ইসলামী আন্দোলনের জেলা সভাপতি শেখ মুহাম্মদ জয়নাল আবেদিন মাহফিলের সর্বশেষ প্রস্তুতির বিষয়ে জানান, মাহফিলে আগত মুসল্লিদের মাহফিল শোনার সুবিধার্থে ইতোমধ্যে মাঠে প্যান্ডেল তৈরির কাজ চলছে পুরোদমে। বৃহৎ পরিসরে অজু-গোসল ও খাওয়ার জন্যে বিশুদ্ধ পানির পাম্প বসানোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ব্যাপক জনসমাগমের কথা বিবেচনায় পর্যাপ্ত অজুখানা, টয়লেট ও বাথরুম নির্মাণ করা হয়েছে। প্রতিদিন প্রায় একশ' স্বেচ্ছাসেবক কাজ করে যাচ্ছেন। মাহফিল মাঠে আগত মুসল্লিদের নিরাপত্তা ও সার্বিক বিষয়ে নেয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক ও নিরাপত্তা টিমসহ থাকবে পুলিশ কন্ট্রোল রুম, হারানো ক্যাম্প, অ্যাম্বুলেন্স সুবিধাসহ প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা মেডিক্যাল ক্যাম্প। নিরাপত্তা ক্যাম্পে প্রশাসনিক ও স্বেচ্ছাসেবা কার্যক্রমে থাকবে ৩ শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক ও নিরাপত্তা কর্মী। মাহফিলে আগত দেশবরেণ্য ওলামা মাশায়েখের জন্যে নির্মাণ করা হয়েছে বিশ্রামাগার ও বিশাল আকারের মেহমানখানা। মুসল্লিদের সার্বিক সুবিধার্থে ১ লাখ বর্গফুটের বিশাল প্যান্ডেলসহ থাকছে শতাধিক সাউন্ড সিস্টেম। নিরাপত্তার জন্যে থাকছে সিসি টিভির বেষ্টনীসহ আধুনিক সকল ব্যবস্থাপনা।
মাহফিল ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ৮ নভেম্বর শুক্রবার জুমার নামাজ আদায়ের মধ্য দিয়ে মাহফিলের কার্যক্রম শুরু হবে। জুমার নামাজের পর উদ্বোধনী বয়ান করবেন নায়েবে আমিরুল মুজাহিদীন সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীম, শায়খে চরমোনাই। দ্বিতীয় দিন মাহফিলে আসবেন ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম, পীর সাহেব চরমোনাই। তিনি মাহফিলের শেষ দিন দুপুরে চাঁদপুরের ওলামায়ে কেরাম, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, পেশাজীবী ও সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করবেন। রোববার সকালে তাঁর আখেরি বয়ান ও মোনাজাতের মাধ্যমে মাহফিলের সমাপ্তি ঘটবে।
মাহফিল বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক মাওলানা নুরুল আমিন জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল ও শুক্রবার সকাল থেকেই জেলার প্রতিটি এলাকা থেকে কাফেলাবদ্ধ সাধারণ মুসল্লিদের আগমনের ব্যাপকতা ঘটবে। মাহফিলে ব্যাপক মুসল্লি উপস্থিতির কথা বিবেচনা করে সকল ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানান মাহফহিল কর্তৃপক্ষ। মাহফিলকে ঘিরে চলছে জেলার সকল উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা ও রেকর্ড পরিমাণ পাবলিসিটি। ৩ দিনব্যাপী এ মাহফিলে জাতীয় ও স্থানীয় শতাধিক দেশবরেণ্য ওলামা মাশায়েখ উপস্থিত থেকে বয়ান পেশ করবেন।
মাহফিল সফলতার লক্ষ্যে এক যোগে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি, আইএবি ও সকল সহযোগী সংগঠনের জেলা, শহর এবং স্থানীয় দায়িত্বশীল, কর্মী, সদস্যবর্গ ও স্থানীয় এলাকাবাসী। শান্তিপূর্ণ এই মাহফিলে ইসলাম, দেশ ও মানবতাবাদী চাঁদপুরবাসী এবং সর্বস্তরের জনসাধারণকে উপস্থিত থাকতে বিশেষভাবে আহ্বান জানিয়েছে মাহফিল বাস্তবায়ন কমিটি।