প্রকাশ : ০৯ অক্টোবর ২০২৩, ১৮:৫৬
পরকীয়া বলিদান এমরান হত্যাকারী প্রেমিককে খুঁজছে পুলিশ : প্রেমিকাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ
হাজীগঞ্জ বাজারস্থ হকার্স মার্কেটের পাশে ট্রাক রোডে কথিত পরকীয়া সম্পর্কের কারনে হত্যাকারী প্রেমিক সৈয়দ আশেক এলাহী বাবুকে খুঁজছে পুলিশসহ একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। পরকীয়া প্রেমিকা ও নিহতের স্ত্রী ফারজানাকে থানায় ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত প্রবাসী এমরান হোসেনের বোন রীনা বেগম বাদী হয়ে বাবু, ফারজানাসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেছে। এদিকে নিহতের লাশের ময়নাতদন্ত শেষে বাবার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে। এ হত্যার মূল আসামী বাবু শাহরাস্তি উপজেলার আজাগরা গ্রামের সৈয়দ বাড়ির সন্তান। ফারজানা বাবু সম্পর্কে বেয়াই-বেয়াইন। তাদের পরকীয়া সম্পর্ক নিয়ে একাধিক শালিশ হয়েছে বলে মামলার বাদী রিনা জানান।
|আরো খবর
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুর রশিদ জানান, এ ঘটনায় নিহতের বোন বাদী হয়ে মামলা করা হয়েছে। ফারজানাকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মূল আসামী বাবুকে গ্রেফতারে টিম কাজ করছে।
উল্লেখ্য গত রোববার (৮ অক্টোবর) রাতে হাজীগঞ্জ বাজারস্থ ট্রাকরোড়ের একটি ভাড়া বাসায় হত্যার শিকার হন সৌদী প্রবাসী এমরান হোসেন। তিনি স্ত্রী ফারজানাসহ একমাত্র সন্তান নিয়ে ভাড়া থাকতেন। সেখানেই এ ঘটনা ঘটে।
নিহত এমরান হোসেন ফরিদগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের দালাল বাড়ির মো. আবুল বাশারের ছেলে। তার স্ত্রী ফারজানা বেগম হাজীগঞ্জ উপজেলার জাখনি গ্রামের মৃত জসিম উদ্দিনের মেয়ে।
ঘটনার দিন নিহতের স্ত্রী ফারজানা বেগম জানান, রোববার এশার নামাজের সময় আমাদের আত্বীয় আশেক এলাহী বাবু বাসায় আসে। এ সময় এমরানের সাথে আশেকের কথা হয়। এরপর আমি (ফারজানা) টয়লেট যাই, আমি টয়লেট থেকে ফিরে এসে দেখি আশেক আমার স্বামীকে কোপাচ্ছে। এসময় আমি তাকে বাঁচাতে গেলে আশেক আমাকে আঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে আমি আমার স্বামীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসি। আশেক আমাকে প্রায় সময় বিরক্ত করতো বলে জানান ফারজানা।
মামলার বাদি রিনা বেগম জানান, আমার ভাবির (ফারজানা ) সাথে তার বড় বোনের চাচাতো দেবর আশেক এলাহী বাবুর পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। এসব ঘটনা নিয়ে দেন-দরবার হয়েছে। তারাই আমার ভাইকে মেরে ফেলেছে।
এ সময় তিনি আরো বলেন, তারা (ফারজানা বেগম ও সৈয়দ আশেক এলাহী বাবু) আমার ভাইকে পরিকল্পনা করে জবাই করে হত্যা করেছে। এই ঘটনার সুষ্ঠ বিচার চাই।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মো. গোলাম মাওলা নঈম জানান, এমরান হোসেনকে আমরা হাসপাতালে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। অর্থ্যাৎ হাসপাতালে আনার পূর্বেই তিনি মারা গেছেন। দায়িত্বরত চিকিৎসকের দেওয়া তথ্য মতে ঘটনা সংশ্লিষ্ট ফারজানা নামের একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।