প্রকাশ : ২৯ জুন ২০২৩, ২১:১৪
৬ ঘন্টায় চাঁদপুর পৌর এলাকার কোরবানীর বর্জ্য অপসারণ
কাজ করছে ৩০০ পরিচ্ছন্নতা কর্মী
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে চাঁদপুর পৌর এলাকার বাসিন্দাদের দেওয়া পবিত্র ঈদুল আযহার কোরবানীর পশুর বর্জ্য শতভাগ অপসারণ করেছে চাঁদপুর পৌর সভা । চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র অ্যাড. মো. জিল্লুর রহমান জুয়েলের নির্দেশে পৌরবাসীর সহযোগিতায় মাত্র ৬ ঘণ্টার মধ্যেই এ বছরের কোরবানি পশুর বর্জ্য অপসারণের মতো একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ সাফল্যের সাথে সমাপ্ত করেছে চাঁদপুর পৌরসভা। বৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল আযহার দিনে বেলা ১টা থেকে রাত ৭টার মধ্যে পৌরসভার ১৫টি ওয়ার্ডের প্রতিটি পাড়া মহল্লার প্রতিটি অলিগলিতে পৌর পশু জবেহ করার বর্জ্য অপসারণ করে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ।
|আরো খবর
পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, ঈদের নামাজ আদায় শেষে বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) সকাল থেকে ত্যাগের মহিমা ও সৃষ্টিকর্তার নৈকট্যলাভের আশায় পশু কোরবানীর করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। এ বছর পৌরসভার ১৫টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকার অলিগলিতে প্রায় ৩ হাজার পশু জবেহ করা হয়। চাঁদপুর পৌরসভার কোরবানির পশুর বর্জ্য দুপুর ১টার থেকে অপসারণ কাজ শুরু করে পৌর কতৃপক্ষ। মাত্র ৬ ঘণ্টার মধ্যেই পৌর এলাকার কোরবানীর পশুর বর্জ্য অপসারণ করা হয়। এ বর্জ্য অপসারণে পৌরসভার কনন্জারভেটিভ শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়া ও ৩শ’ পরিচ্ছন্নতাকর্মী এই বর্জ্য অপসারণে দায়িত্ব পালন করেন। এরমধ্যে পৌর এলাকার বর্জ্য সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে শতভাগ অপসারণ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান পৌরসভার কঞ্জারভেন্সী ইন্সপেক্টর মো. শাহজাহান খান।
জানাযায়, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র অ্যাড. মো. জিল্লুর রহমান জুয়েলের নির্দশনায় ও সার্বিক তও্বাবায়ধনে পৌরসভার কঞ্জারভেন্সী ইন্সপেক্টর মো. শাহজাহান খান বর্জ্য অপসারণ কাজের তরদারকী করেন। বিশেষ করে পৌর সভার ১৫ টি ওয়ার্ডের নারী ও পুরুষ কাউন্সিলরগন প্রত্যেকে সকল স্ব স্ব ওয়ার্ডে বজ্য অপসারণ কাজে সার্বিক সহযোগিতা করেন এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
এই বিষয়ে চাঁদপুর পৌর কতৃপক্ষ বেশ কয়েক দিন পূর্ব থেকেই পৌর এলাকার জনগণের মাঝে জনসচেতনতা সৃষ্টি এবং পৌর জনগণকে এ বিষয়ে পৌর কতৃপক্ষ কে সহযোগিতা করার জন্য প্রচার প্রচারণা করেন।
পৌরসভার কঞ্জারভেন্সী ইন্সপেক্টর মো. শাহজাহান খান বলেন, বৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে চাঁদপুর পৌর এলাকার কোরবানির পশুর বর্জ্য দুপুর ১টা থেকে আমরা অপসারণের কাজ শুরু করা হয়েছে। সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করতে পেরেছি। কোরবানির বর্জ্য অপসারণের লক্ষে ঈদের দিন পৌরসভার ১৫টি ওয়ার্ডের বিভিন্নস্থানে ৫ জন সুপারভাইজার, ৩শ’ পরিচ্ছন্নতাকর্মী কাজ করেছে। কোরবানির বর্জ্য অপসারণের কাজে ১০টি ট্রাক, ৭০টি ভ্যান ছাড়াও ৩০টি ট্রলি নিয়োজিত ছিলো। মাত্র ৭ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণের পর পৌর এলাকাকে দুর্গন্ধমুক্ত রাখার জন্য পরিচ্ছন্নকর্মীরা রাস্তায়, ড্রেনে প্রায় আড়াই হাজার কেজি ব্লিচিং পাউডার ছিটায়ে দেয়। তাৎক্ষণিক সহায়তা দিতে কঞ্জারভেন্সী বিভাগের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ২৪ ঘণ্টাই খোলা ছিলো।বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, বাড়ির পাশে অন্যান্য সময়ের মতো আবর্জনার স্তুপ নেই। মূল সড়কের পাশেও নেই তেমন বর্জ্য। পূর্ব নির্ধারিত আগেই কোরবানির বর্জ্য অপসারণ সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা থেকে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শুরু করে সন্ধ্যা ৭টায় ৬ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণ সম্পন্ন করে।
চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র অ্যাড. মো. জিল্লুর রহমান জুয়েল বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে চাঁদপুর পৌর এলাকায় বিভিন্ন স্থানে যারা কোরবানি দিয়েছেন, তারাও সচেতন ছিলেন। পৌরবাসী কোরবাণির বজ্য ড্রেনে না ফেলে ড্রেন ও রাস্তার পাশে স্তুপ করে রেখেছে। এতে পরিচ্ছন্নকর্মী সহজে বজ্য সংগ্রহ করতে পেরেছে। পৌর এলাকা পরিচ্ছন্ন ও দূষনমুক্ত রাখতে প্রায় ৩শ’ পরিচ্ছন্নকর্মী মাঠে কাজ করেছে। সন্ধ্যার মধ্যেই কোরবানির বর্জ্য অপসারেণ করতে সক্ষম হয়েছে পৌরসভা। বর্জ্য অপসারণে পৌরবাসির সহযোগিতা, কাউন্সিলর ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিশেষ অবদানের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন মেয়র।