প্রকাশ : ১৯ জুন ২০২৩, ২০:৫৯
হাজীগঞ্জে চাহিদার চেয়ে কোরবানির পশুর সংখ্যা কম
হাজীগঞ্জে মোট চাহিদার ছেয়ে কোরবানীর পুশুর সংথ্যা কম রয়েছে। উপজেলায় মোট কোরবানী পশুর চাহিদা প্রায় ১৭ হাজার আর এথন তা রয়েছে সাড়ে ১৫ হাজার। চাহিদার ছেয়ে কোরবানী পশুর সংখ্যা প্রায় দেড় হাজার কম রয়েছে। কাগজে পত্রে প্রায় দেড় হাজার কোরবানী পশুর ঘাটতি থাকলে বাস্তবে এমন ঘাটতি নেই বলে চাঁদপুর কন্ঠকে নিশ্চিত করেছে উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়। এদিতকে গতকাল সোমবার (১৯ জুন) থেকে শুরু হয়েছে কোরবানির পশুর হাট জমতে শুরু করেছে।
|আরো খবর
প্রানী সম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় দাবী করে বলে বলছে , প্রকৃতপক্ষে পশুর ঘাটতির কোন সম্ভাবনা নেই। কারণ, কোরবানির পশুর হাট শুরু হলে, প¦ার্শবর্তী উপজেলাসহ খামারি, পালিত, নিয়মিত ও সিজনাল ব্যবসায়ীরা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কোরবানির পশু নিয়ে হাটে আসেন। এতে করে পশুর ঘাটতি থাকার কথা নয়, বরং উদ্বৃত্ত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
পূর্বের বছরগুলোতে দেখা গেছে, জেলার বাহির থেকে প্রচুর কোরবানির পশু আসে। যার ব্যতিক্রম এ বছরও হবেনা।
এ দিকে কোরবানির দিন ঘনিয়ে আসায় ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ট্রাকে করে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় কোরবানির পশু আসতে শুরু হয়েছে। এর মধ্যে হাজীগঞ্জের বেশ কয়েকজন সিজনাল ব্যবসায়ীও গরু এনেছেন বলে জানা গেছে। এ বছর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে কোরবানীর পশুর হাটের জন্য ২৬টি নির্ধারিত স্থানের জন্য ইজারা বিজ্ঞপ্তি আহবান করা হয়েছে। গতকাল সোমবার থেকে এ সব বাজারে গরু ছাগল পাওয়া যাবে।
উপজেলা প্রাণি সম্পদ দপ্তর থেকে আরো জানা গেছে, এ বছর হাজীগঞ্জে প্রায় ১৭ হাজার কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে গরুকেই কোরবানির পশু হিসাবে কাউন্ট করা হয়েছে। চাহিদার মধ্যে উপজেলায় খামারী ও গৃহপালিত পশু রয়েছে প্রায় ১৫ হাজার ৫০০। আপাত দৃষ্টিতে চাহিদার চেয়ে জোগানের ঘাটতি দেখা গেলেও প্রকৃতপক্ষে পশুর ঘাটতি হবে না। উপজেলা ও জেলার বাহিরের পশু দিয়ে ঘাটতি পূরণ হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ শাহীন মিয়া জানান, কোরবানীযোগ্য পশুর কোন ঘাটনি নেই। খামারি ও গৃহপালিত এবং উপজেলার বাহিরে থেকে আসা পশু দিয়ে চাহিদা ও সাপ্লাই সমান হবে।