প্রকাশ : ১৩ মার্চ ২০২৩, ১৯:৩৬
১০ গৃহস্থের ১৮ ঘরসহ পুরো বাড়ি আগুনে পুড়ে ছাই
১০ গৃহস্থের সবগুলো বসতঘরসহ মোট ১৮টি ঘর আগুনে পুড়ে মাটির সাথে মিশে গেছে। ক্ষতিগ্রস্তরা কৃষক। এতে করে ওই সকল স্বাবলম্বী কৃষকের এখন মাটি ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট রইলো না। সোমবার (১৩ মার্চ) দুপুরে হাজীগঞ্জের কালচোঁ উত্তর ইউনিয়নের পিরোজপুর গ্রামের জলিল মুন্সী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এতে করে কমপক্ষে কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা।
|আরো খবর
ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন ওই বাড়ির তাজুল ইসলাম মুন্সীর ছেলে মোফাজ্জেল হোসেন, আব্দুল কুদ্দুস, মোয়াজ্জেম হোসেন ও শুকুর আলম, মৃত আব্দুর রশিদ মুন্সীর ছেলে ফজলুল হক, ফজলুল হকের ছেলে খোরশেদ আলম ও মোঃ জুলহাস, মৃত আব্দুর রব মুন্সীর ছেলে ওমর ফারুক ও সুফিয়ান হোসেন, মৃত বজলুল হকের ছেলে রবিউল আলম।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর ক’জন পুরুষ জানান, একটি ঘর থেকে আগুন লেগে পুরো বাড়ি ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় আমরা পুরুষরা মাঠে কাজ করার কারণে নারীরা কিছুই সরাতে পারেনি। হাজীগঞ্জ থেকে আমাদের গ্রামটি দূরে হওয়ায় দমকল বাহিনী আসতে আসতে সব শেষ হয়ে গেছে।
ওই বাড়ির প্রত্যক্ষদর্শী ও ক্ষতিগ্রস্ত মোফাজ্জেল হোসেনের স্ত্রী ফজিলতেচ্ছা (৬০) জানান, দুপুরের দিকে রান্নাঘরে বসে রান্না করছি। ঘরের চালের ওপরে থাকা বিদ্যুতের তার ঠুস করে শব্দ হয়। দৌড় দিয়ে ঘরে আসি মেইন সুইচ বন্ধ করতে কিন্তু ঘরে ঢুকে দেখি পুরো ঘরে আগুন জ্বলছে।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান পলাশ জানান, বাড়ির প্রতিটি পরিবার স্বাবলম্বী কৃষক। বাড়ির প্রতিটি ঘরে টিভি, ফ্রিজ, ফ্যান, ফার্নিচার, আসবাবপত্র, বাড়ির সবার বসতঘরে থাকা নগদ টাকা, কয়েকটি পাসপোর্ট, দুটি ভিসা, স্বর্ণালঙ্কার পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এছাড়া নতুন বছরের ফসল ধান, সরিষা, আলু, জীবন্ত গরু সব কিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মানিক হোসেন প্রধানীয়া জানান, আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভাতে সহযোগিতা করি, কিন্তু বাড়িটি ঘনবসতি হওয়ায় পুরো বাড়িতে মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
হাজীগঞ্জ দমকল বাহিনীর সিনিয়র স্টেশন কমান্ডার সাজেদুল কবির জোয়ার্দ্দার জানান, বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মেহেদি হাসান মানিক জানান, আমরা তাৎক্ষণিক ডিসি স্যারকে বিষয়টি জানিয়েছি। স্যারের পরামর্শে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রতি পরিবারকে কম্বল, চাল, ডাল, মশলা, তেলসহ খাদ্যসামগ্রী দেয়া হয়েছে।