বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর, ২০২৪  |   ৩১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস আজ
  •   চাঁদপুর সদরের শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের মান্দারি লোহাগড় গ্রামে দুটি পুকুরে বিষ দিয়ে ১৫ লাখ টাকার মাছ নিধন
  •   গৃহবধূ আসমার খুনিদের বিচারের দাবিতে ফরিদগঞ্জে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন
  •   কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অভিযোগ
  •   হাজীগঞ্জের সন্তান অতিরিক্ত ডিআইজি জোবায়েদুর রহমানের ইন্তেকাল

প্রকাশ : ১২ জানুয়ারি ২০২৩, ২২:০০

মেঘনায় নির্বিচারে পোনা নিধন

অনলাইন ডেস্ক
মেঘনায় নির্বিচারে পোনা নিধন

শীত মওসুম এলেই

চাঁদপুর মেঘনা নদীতে চলে মশারিজাল ও বাঁধাজালে বিভিন্ন প্রজাতির পোনা মাছ নিধন।এবারও নদনদীর মৎস্য সম্পদ ধ্বংস ক্র্যক্রম চলে আসছে।একশ্রেণির মৌসুমি জেলে ও ভাসমান মৎস্য আড়তদাররা নদীর পোনা মাছ নিধন এবং বেচা বিক্রি করে আসছে।

গত ডিসেম্বর মাস থেকে প্রকাশ্যে বাইল্যা,চিংড়ি,জাটকার রেণু,শিলন মাছের পোনা এমনকি পাংগাসের পোনাও নিধন করা হয়।

কুয়াশা ও তীব্র শীতের মধ্যে জোয়ার-ভাটায় ঝাঁকে ঝাঁকে উঠে আসে পোনা মাছ। সেখানে নিষিদ্ধ জাল পেতে মাছ ধরতে গিয়ে অবাধে পোনা নিধন করছেন একশ্রেণির জেলে।

স্থানীয় সাধারণ জেলে ও সচেতন ব্যক্তিরা বলছেন, নদীতে ছোট ফাঁস জালের অবাধ ব্যবহারে বিশেষ করে মশারিজালে মাছের স্বাভাবিক প্রজনন, বংশবিস্তার ও বৃদ্ধি ব্যাহত হচ্ছে।

মেঘনা নদীর চাঁদপুরের মতলব মোহনপুর,এখলাশপুর থেকে শুরু করে,চাঁদপুর সদর উপজেলার আমিরাবাদ,কানুদী,আনন্দবাজার,রাজরাজেশ্বর চর এলাকা,বড়স্টেশন কসাইখানা,পুরাণবাজার হরিসভা, রনাগোয়াল,দোকানঘর গুচ্ছগ্রাম,রামদাসদী,সাখুয়া খাল,বহরিয়া,লক্ষ্মীপুর,হরিনা, আখনেরহাটসহ বিস্তৃর্ণ নদী এলাকা জুড়ে

নিষিদ্ধ জালে যেভাবে ইলিশসহ বিভিন্ন মাছের পোনা হত্যা চলছে, এতে অচিরেই মাছের ভান্ডার শূন্য হয়ে পড়বে। প্রতিদিন কী পরিমাণ পোনা মাছ নিধন হচ্ছে, তা নিজের চোখে না দেখলে কল্পনা করাও কঠিন।

মৎস্য আইনে মাছের পোনা সংরক্ষণে মশারি ও বাঁধাজালসহ সোয়া চার ইঞ্চির কম ফাঁস জাল ব্যবহার করা দণ্ডনীয় অপরাধ। অথচ ওই সব এলাকায় গুঁড়া মাছ ধরার জন্য একেবারে ক্ষুদ্র ফাঁস জাল ব্যবহার করা হচ্ছে।

চাঁদপুর বড়স্টেশন মাছঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ি আলী আকবর উষ্মা প্রকাশ করে তার ফেসবুক আইডিতে নদীতে নিধনকৃত বিভিন্ন প্রজাতির পোনা মাছের ছবি এবং ভিডিও আপলোড করে প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করেছেন।

তিনি বলেন,শীত শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত নদীতে নির্বিচারে বিভিন্ন মাছের পোনা নিধন চলে আসলেও মৎস্য সম্পদ রক্ষায় নিষিদ্ধ জালে মাছ শিকার বন্ধে স্থানিয় প্রশাসন কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি।

সরেজমিনে দেখা যায়,মেঘনা নদীর চাঁদপুর এলাকার বিভিন্ন স্থানে ছোট ফাঁসের নিষিদ্ধ জালে অবাধে পোনা মাছ নিধন চলছে। সাধারণত বাইল্যা,চিংড়ি,

পোয়া, টেংরা,সিলনসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনাকে বড় হবার সুযোগ না দিয়ে মশারিজালে এসব মাছ ছেঁকে ফেলা হচ্ছে। সাগর পোনা নামে এ রেণু পোনাগুলো সিলভারের পাত্রে হাটবাজারে বিক্রি করা হয়।সবচেয়ে বেশি নিধন করা হয় বাইল্যাও চিংড়ি মাছের পোনা।এই পোনার সাথে ইলিশের রেণু পোনাও চলে আসছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়,নদীর পোনা মাছগুলো যে হারে ধ্বংস করা প্রশাসন কি দেখে না।কিছু লোক অন্য জায়গা থেকে বাঁধাজালের নৌকা এনে এখানে পোনামাছ ধরায়।প্রতি বছর বিপুল পরিমান নদীর পোনা মাছ ধ্বংস করা হয়।তাদের মতে,ইলিশ ছাড়া নদীর অন্যান্য মাছের পোনা মাছ শীত মওসুমে নদীতে ব্যাপক বিচরণ করে।এ সময়ই সেই পোলাগুলা ধরে ফেলা হয়।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসন ও মৎস্য দপ্তরের জোরালো দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন।

ছবি ক্যাপশনঃ চাঁদপুর মেঘনা নদীতে শীতের এই সময় জেলেদের নিধনকৃত বিভিন্ন প্রজাতির পোনা মাছ দেখা যায়।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়