প্রকাশ : ০২ জানুয়ারি ২০২৩, ২০:১০
পৈত্রিক ভুমি রক্ষা ও হামলার ঘটনায় আইনী ব্যবস্থার দাবীতে
ফরিদগঞ্জে আমরণ অনশনে এক পরিবার
দুই বছর ধরে পৈত্রিক ভুমি থেকে উচ্ছদের নানাভাবে হয়রানি, প্রকাশ্য দিবোলোকে হামলা মরধর, টিনেরঘর, দোকানঘর ভাংচুর, গাছগাছালি কেটে সাবাড়ের ঘটনায় আতংকিত পরিবারের সদস্যরা পুলিশেল কাছ থেকে কোন আইনী সহযোগিতা না পাওয়ায় আমরণ অনশনে বসেছে ভূক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। সোমবার (২ জানুয়ারি) সকালে ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনের সড়কের পাশে তারা অনশনে বসে। ওই সময়ে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য ফয়েজ মৃধা, শেখ ফরিদ এবং তদের পরিবারের শিশু সন্তানসহ অনশনে অংশ নেয়।
ভুক্তভোগীরা জানায়, উপজেলার রূপসা উত্তর ইউনিয়নের রুস্তুমপুর গ্রামের ফয়েজ মৃধা গংদের সাথে মুগদা থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন বাহার গং তাদের প্রতিবেশী হওয়ায় জমিজমা নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়।
অনশনে অংশ নেয়া ভুক্তভোগী শেখ ফরিদ মৃধাদের পরিবারের অভিযোগ, তাদের দখল ও দলিল মূলে বেশ কয়েকটি দাগে ৪৮.৬২শতক জায়গার মালিক এবং এ পর্যন্ত দখলে থেকে ভোগ করে আসছেন তারা। কিন্তু প্রভাবশালী একটি চক্র যাদের একজন মোশারফ হোসেন বাহার, মোজাম্মেল হোসেন বাবুল, আবুল কাশেম, দেলোয়ার হোসেন, লোকমান আমিনগং তাদের দলীয় প্রভাব খাটিয়ে সম্পত্তি দখল করার চেষ্টাসহ নিয়মিত হয়রানী করে আসছে। এ নিয়ে কয়েকবার প্রকাশ্যে শারীরিক হামলার শিকার হয়েছেন তারা। সর্বশেষ গত ২০ ডিসেম্বর প্রকাশ্য দিবোলোকে তাদের সম্পত্তি দখলের চেষ্টার অংশ হিসেবে হামলা, মারধর, টিনেরঘর, দোকানঘর ভাংচুর, গাছগাছালি কেটে সাবাড়ের ঘটনা ঘটায়। ভুক্তভোগীরা নিরুপায় হয়ে ৯৯৯ ফোন দিলে পুলিশ দুই দফা ঘটনাস্থলে গেলেও হামলা, ভাংচুর ও গাছগাছলি কেটে নেয়ার ঘটনায় অদ্যবদি মামলা নেয়নি।
উক্ত নালিশী সম্পত্তির বিষয়ে ১৪৫ ধারার মামলার ঘটনায় বিজ্ঞ আদালত ফরিদগঞ্জ উপজেলা ভূমি কর্মকর্তাকে দখলীয় প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিলে স্থানীয় ভূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উল্টো প্রভাবশালী পক্ষের দখল দেখিয়ে গত কয়েক মাস পূর্বে প্রতিবেদন দাখিল করে। ভূমি অফিসের প্রতিবেদনকে মিথ্যা আখ্যায়িত করে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে উপজেলার ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবারটি।
এ ব্যাপারে প্রতিপক্ষ লোকমান আমিনের ছেলে ওমর ফারুক জানান, আদালতে মামলা চলমান অবস্থায় ফয়েজ মৃধাদের দখলে থাকা ওই সম্পত্তি ২০ ডিসেম্বর তারা দখলমুক্ত করেছেন।
ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল মান্নান বলেন, বিষয়টি নিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।