বুধবার, ০৬ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কচুয়ায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ
  •   নির্মাণের এক বছর না যেতেই ফরিদগঞ্জ কেন্দ্রীয় মডেল মসজিদের বেহাল দশা
  •   শেষ হলো পদ্মা-মেঘনায় জাল ফেলার নিষেধাজ্ঞা
  •   ফরিদগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার
  •   মোবাইল ব্যবহারে নিষেধ করায় শিশু শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

প্রকাশ : ০৯ নভেম্বর ২০২২, ১৯:৩৪

পাইকপাড়া দক্ষিণে ইউপি সদস্যদের বকেয়া সম্মানী রেখেই হচ্ছে নির্বাচন

তথ্য চাওয়ায় সাংবাদিককে চেয়ারম্যানের হুমকি

স্টাফ রিপোর্টার
পাইকপাড়া দক্ষিণে ইউপি সদস্যদের বকেয়া সম্মানী রেখেই হচ্ছে নির্বাচন

ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৮নং পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যদের ৩৩ মাসের সম্মানী বকেয়া রেখেই ওই ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আগামী ২৮ নভেম্বর ওই ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ২নং ওয়ার্ড (খুরুমখালী-ভঙ্গেরগাঁ) সদস্য রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ। আমার হার্টে রিং বসানো হয়েছে । গত ২৮ মাস ধরে পরিষদ থেকে সম্মানী ভাতা পাচ্ছি না। বকেয়া সম্মানী ভাতা পেলে খুবই উপকারে আসতো।

৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ মাহিন সর্দার বলেন, আমি ৪নং ওয়ার্ড (দক্ষিণ কড়ৈতলী) থেকে নির্বাচন করছি। পরিষদের আর্থিক সংকটের কারণে আমার আড়াই থেকে তিনবছরের মাসিক সম্মানী ভাতা বকেয়া রয়েছে। ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (সাহাপুর) সদস্য এমরান হোসেন তালুকদার বলেন, আমার ৩৩মাসের সম্মানী বকেয়া রয়েছে। বর্তমান ইউপি সচিব ছিদ্দিকুর রহমান মীর বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ সদস্য সংরক্ষিত সদস্য ও চেয়ারম্যানদের সম্মানীর একটি অংশ সরকারিভাবে এবং আরেকটি অংশ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পরিশোধ করা হয়। সাধারণ সদস্যদের ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৪৬০০/- (চার হাজার ছয়শ’) টাকা এবং সরকারিভাবে ৩৪০০/-(তিন হাজার চারশ’) টাকা পরিশোধ করা হয়। ইউনিয়ন পরিষদের আদায়কৃত হোল্ডিং ও বিভিন্ন পরিবহন থেকে আদায়কৃত ট্যাক্সের ৪০ ভাগ থেকে তাদের সম্মানী পরিশোধ করা হয়। করোনাকালীন সময়ে ট্যাক্স আদায় করা সম্ভব হয়নি বিধায় বকেয়া রয়েছে। নতুন চেয়ারম্যান আসলেও তাদের বকেয়া সম্মানী দিতে সমস্যা হবে না। নির্বাচনের আগে আমরা চেষ্টা করব বকেয়ার পরিমান কমাতে।

এই বিষয়ে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শওকত আলীর কাছে জানতে চাইলে মুঠোফোনে কথা বলা স্থানীয় এক সাংবাদিককে তিনি এই বিষয়ে জানার অধিকার নিয়ে কৈফিরত তলব করেন। এমনকি মোবাইল ফোনে তিনি মামলা করবেন বলে হুমকি দেন।

এদিকে সংবাদকর্মীকে ইউপি চেয়ারম্যানের হুমকির ঘটনায় স্থানী সাংবাদিকদের মধ্যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়ছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়