প্রকাশ : ২০ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০
নিজের সংসারের অশান্তি আর ক’জন সালিসের নাম চিরকুটে লিখে ট্রেনের নিচে পড়ে আত্মহত্যা করলেন রুহুল আমিন (৩৫)। তিনি হাজীগঞ্জের বাকিলা এলাকায় মা, স্ত্রী আর সন্তানদের নিয়ে ভাড়া বাসায় বসবাস করলেও তার মূল বাড়ি সিলেটে। তাকে স্থানীয়রা সিলেটি বলে ডাকতো। তার পিতা আবদুর গফুর। ১৮ এপ্রিল মঙ্গলবার লাকসামণ্ডচাঁদপুর রেলপথের হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন বলাখাল এলাকায় রেললাইনের পাশ থেকে তার দ্বিখণ্ডিত লাশ উদ্ধার করে রেলওয়ে পুলিশ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এদিন দুপুরে লাকসামণ্ডচাঁদপুর রেলপথের হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন বলাখাল এলাকায় রেললাইনের পাশে ট্রেনে কাটা লাশ দেখে স্থানীয়রা হাজীগঞ্জ থানা পুলিশকে খবর দেয়। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে চাঁদপুর রেলওয়ে থানাকে অবহিত করে। লাশটি প্রথমে অজ্ঞাত হিসেবে উদ্ধার করা হলেও পরে নিহতের পকেটে থাকা চিরকুট পড়ে লাশের পরিচয় মিলে। পেশায় তিনি টাইলস্ মিস্ত্রী ছিলেন এবং দুই পুত্র সন্তানের জনক।
নিহতের মা মুঠোফোনে জানান, গত ১০ বছর ধরে বউয়ের সাথে ছেলের বনিবনা নাই। দুই নাতি থাকা সত্ত্বেও বউ ছেলের সাথে ভালো ব্যবহার করেনি। সর্বশেষ গত সোমবার পাশের রামপুর ইউনিয়নের ক’জন সালিসদার ছেলেকে জোর করে ১০ লাখ টাকায় নতুন করে এই বউয়ের সাথেই বিয়ে পড়ায়। সেসব কষ্টে ছেলে এ ঘটনা ঘটায়।
বাকিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিলন জানান, চিরকুটের সূত্র ধরে বিস্তারিত জানতে পুলিশ আমার কাছে এসেছে। আমাদের এলাকার ১ জনসহ রামপুর ইউনিয়নের কয়েক সালিসের নাম চিরকুটে লিখে গেছেন তিনি। নিহতের মা এ বিষয়ে কথা বলতে আমার কাছে এসেছিলেন।
এ বিষয়ে চাঁদপুর রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মুরাদ উল্যাহ বাহার জানান, চিরকুটের বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি। খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।