প্রকাশ : ১২ মার্চ ২০২৩, ০০:০০
ফরিদগঞ্জ উপজেলার বালিথুবা পূর্ব ইউনিয়নের সেকদি চরের মাছ চুরির অভিযোগে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে ফরিদগঞ্জ থানার পুলিশ।
থানায় অভিযোগ ও সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ আজগর আলী ৫ লাখ ৬০ হাজার টাকায় জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ইজারা নিয়ে চরে মাছচাষ শুরু করলে শুরু থেকেই নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে একই এলাকার বাসিন্দা আবদুল জলিল ও আব্বাস গং।
চরের ইজারাদার আজগর আলী জানান, তারা বিভিন্ন সময় কারেন্ট জাল দিয়ে চরের মাছ চুরি করে নিয়ে যায়। আমরা বাধা দিলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর পাল্টা অতর্কিত হামলা করে। গত ৬ মার্চ দুপুরে প্রকাশ্যে চরে প্রবেশের গেট ভেঙ্গে আমাদের নৌকা ও মাছ নিয়ে যায়।
চরের জমির মালিক তাজুল ইসলাম (৬০) ও সিরাজ গাজী জানান, আজগর আলী ৫ লাখ ৬০ হাজার টাকায় এক বছরের জন্য চরটি ইজারা নিয়েছে। ইজারাদার কাকে সাথে রাখবে, কীভাবে মাছ চাষ করবে এটা একান্তই তার ব্যাপার, অন্যরা এতে বাধা দিলে সেটা হবে বৈআইনি।
মোঃ জসিম, ইব্রাহিম ও আবদুল কাদির জানান, চরের পাশের বাসিন্দা আবদুল জলিল নদীতে মাছ ধরার নাম করে চরের মাছ চুরি করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। অভিযুক্ত জলিল গাজীর সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
আব্বাসের ছেলে আলআমিন জানান, চরের অপর পাড়ে আমাদের টয়লেট রয়েছে, তারা গেট দিয়ে আমাদের টয়লেটে যাতায়াতের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির কারণে আমরা গেটটি খুলে দিয়েছি। তারা যে বলছে তাদের নৌকা চুরি করেছি, মূলত নৌকাটি চরের।
মাছ চুরির বিষয়ে আলআমিন জানান, চর ইজারা নেয়ার সময় বলেছিলো আমাদের সাথে রাখবে, এখন আমাদের সাথে না রেখে অন্যদের সাথে রেখেছে।
এসআই রফিকুল ইসলাম বলেন, থানায় অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে এসে চুরি যাওয়া নৌকা ও গেট উদ্ধার করেছি, তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।