প্রকাশ : ১২ মার্চ ২০২৩, ০০:০০
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (ডিআইইউ) দেশীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য চর্চায় এবং একই সাথে শিক্ষার্থীদের উদ্যোক্তা হিসেবে অনুপ্রেরণা জোগাতে ‘ঐতিহ্যের হাট, ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ’ শিরোনামে ৫ মার্চ বিরুলিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রীন ক্যাম্পাসে দিনব্যাপি এক বিশেষ হাটের আয়োজন করা হয়। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই দেশের ৬৪টি জেরার নামে বিভিন্ন স্টলে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সকল ঐতিহ্যবাহী ও গ্রামীণ সংস্কৃতি, খাবার ও পণ্য উপস্থাপন করে। জমকালো এই আয়োজনের প্রধান আয়োজক ছিলো বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনোভেশন এন্ড এন্ট্রেপ্রেনিউরশিপ বিভাগ।
দিনের প্রথমভাগে আয়োজনের উদ্বোধনী আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মোঃ সবুর খান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিজনেস এন্ড এন্ট্রেপ্রেনিউরশিপ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ মাসুম ইকবাল, ট্রেজারার মমিনুল হক মজুমদার, একাডেমিক এফেয়ার্সের ডিন প্রফেসর ড. মোস্তফা কামাল, রেজিস্ট্রার ড. নাদির বিন আলী, ইনোভেশন এন্ড এন্ট্রেপ্রেনিউরশিপ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মোঃ কামরুজ্জামানসহ অন্যান্য ডিন, শিক্ষকম-লী, কর্মকর্তাবৃন্দ এবং শিক্ষার্থীবৃন্দ।
উদ্বোধনী আয়োজনের বক্তব্যে ড. মোঃ সবুর খান বলেন, এইটা একটা বিরাট ব্যাপার যে আমরা এই প্রজন্মকে উদ্যোক্তা হওয়ার পাশাপাশি দেশীয় সংস্কৃতির চর্চায় উদ্বুদ্ধ করতে পেরেছি। আমাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে লালন করতে হবে, একই সাথে দেশের উন্নয়নে নিজেদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে ব্যবসা ও উদ্যোক্তা তৈরি করতে হবে। তিনি আরো বলেন, আমাদের ঐতিহ্য রক্ষায় এই ধরনের আয়োজন প্রতিটা বিশ্ববিদ্যালয়ের করা জরুরি। আমরা আমাদের শেকড় ভুলে কখনো উচ্চাসনে পৌঁছানো সম্ভব না। এই বিশাল আয়োজনকে সাধুবাদ জানানো এবং নিয়মিত অনুশীলন করাটা আমাদের কর্তব্য।
ডিআইইউ-এর ইনোভেশন এন্ড এন্ট্রেপ্রেনিউরশিপ বিভাগের আয়োজনে এই ‘ঐহিহ্যের হাট’ মেলায় বাংলাদেশের ৬৪ জেলার বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী সামগ্রী ৪৫টি স্টলের মাধ্যমে প্রদর্শনী করা হয়। প্রায় ৩৯০ জন শিক্ষার্থী একযোগে এই প্রদর্শনীর স্টলে উদ্যোক্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। বাংলাদেশের জানা-অজানা নানান ঐতিহ্যবাহী সামগ্রীর সাথে পরিচয় করানো এবং শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন থেকেই উদ্যোক্তা হয়ে উঠার হাতে-খড়ির ব্যবস্থা করা হয় বলে জানান ইনোভেশন এন্ড এন্ট্রেপ্রেনিউরশিপ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মোঃ কামরুজ্জামান।
আয়োজনের ইনোভেশন এন্ড এন্ট্রেপ্রেনিউরশিপ বিভাগের পাশাপাশি সহযোগিতায় ছিল বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন বিভাগ, সোশ্যাল বিজনেস স্টুডেন্ট ফোরাম এবং ডিআইইউ-এর ক্লাব ও সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ।