ফরিদগঞ্জে জমির সীমানা নির্ধারণের পরেও হামলায় আহত হয়েছে ৫ জন। থানার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২৬ ফেব্রুয়ারি রোববার বিকেলে উপজেলার সুবিদপুর (পশ্চিম) ইউনিয়নের বদরপুর এলাকার খালের দক্ষিণ পাড়ের মালের বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটে।

অভিযোগ ও ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সকালে স্থানীয় গণ্যমান্য লোকজন, দুজন ভূমি মাপ জরিপের লোক এনে মাপ জরিপ করে দিয়ে যান। গণ্যমান্য লোকজন মাপ জরিপ করে যাওয়ার পর বিকেলে মনির মাল, ভাই দেলোয়ার মাল ও বাবা শহিদ মালসহ ৭ থেকে ৮ জন জমির ওই সীমানা পিলার ফেলে দেয় এবং গালমন্দ করেতে থাকে। এ সময় পাশের জমির মালিক আবুতাহের মাল সীমানা পিলার ফেলে দেয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে মনির ও তার ভাইসহ তাহের মালকেও মারধর করেন। এ সময় আবু তাহের ডাকচিৎকারে করেন। ভাইয়ের চিৎকার শুনে ছোট ভাই জাহাঙ্গীর এগিয়ে আসলে তিনিও হামলার শিকার হন এবং দুই ভাইয়ের চিৎকার শুনে আবু তাহেরের স্ত্রী হাজেরা বেগম, ছেলে ইউনুস, জাহাঙ্গীরের স্ত্রী হাওয়া বেগম ও মেয়ে সুমি বেগম এগিয়ে আসলে তাদেরও বেদম মারধর করা হয়।

আবু তাহের মাল জানান, আমি আসরের নামাজ আদায় করে বাড়ি এসে দেখি, মনির মাল তার ভাই ও বাবা-মা-স্ত্রীদের নিয়ে আমার ঘরের পাশে থাকা সকালে মাপ জরিপ হওয়া পিলার ফেলে দেয় এবং গালমন্দ করে। আমি জানতে চাইলে তারা আমাকে বেদম মারধর করে এবং পাশে থাকা কুয়াতে ফেলে পানিতে চুবিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। আমার ডাক-চিৎকারে ছোটভাই, স্ত্রী, ছেলে ও মেয়েরা এগিয়ে আসলে তাদের ওপর দেশীয় অস্ত্র, দা, রড ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে। পরে আমাদের স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসে।

এ বিষয়ে মনির মালের বাড়িতে গিয়ে কোনো পুরুষ পাওয়া যায়নি। মনির মালের বড় ভাইয়ের স্ত্রী শাহানারার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আবু তাহের মালের পাশের জমি আমরা ক্রয় সূত্রে মালিক। আমর ওই সম্পত্তিতে বিল্ডিংয়ের কাজ করছি। আমরা ওই খানে ১৯ শতক জমি ক্রয় করি, কিন্তু আমাদের সম্পত্তিতে কম পাওয়া যায়। এই সম্পত্তি এই পর্যন্ত প্রায় ১০ থেকে ১২ বার মাপ জরিপ হয়। আমাদের যেই ভাবে মাপ দিয়ে যায় তাতে আমাদের জমি কম হয়। হামলার কথা শিকার করে তিনি বলেন, আমরা ওই খানে গিয়ে সীমানায় হাত দিলে আবু তাহের বাধা দেওয়ায় ধাক্কা ধাক্কি হয়েছে, তেমন কোনো মারধর হয়নি। তার স্বামীর ফোন নাম্বার চাইলে তিনি বলেন, আমার স্বামীর মোবাইল ওই দিন পানিতে পড়ে যায়। মোবাইল ঠিক করতে দোকানে দিয়ে এসেছি।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ টেলুর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমরা ওইদিন সকালে উভয় পক্ষের সম্পত্তি মাপ জরিপ করে দিয়ে এসেছি। কিন্তু আমরা মাপ জরিপ করে দিয়ে আসার পর হামলার ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক।

এ বিষয়ে এএসআই মহিউদ্দিন এ প্রতিনিধিকে বলেন, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এসেছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।