প্রকাশ : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০
যথাযোগ্য মর্যাদায় মতলব দক্ষিণ উপজেলার নারায়ণপুর ডিগ্রি কলেজের আয়োজনে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়েছে। দিবসের কর্মসূচির মধ্যে ছিলো সূর্যোদয়ের সাথে জাতীয় পতাকা ও শোক পতাকা উত্তোলন করে অর্ধনমিত রাখা, জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করা, প্রভাতফেরি, শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা, শেখ রাসেল দেয়ালিকা উন্মুক্ত করা, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণ এবং দোয়া ও মোনাজাত করা।
সকাল ৯টায় কলেজ শহিদ মিনার থেকে প্রভাতফেরি শুরু হয়ে নারায়ণপুর বাজার প্রদক্ষিণ করে পুনরায় কলেজ মাঠে এসে শেষ হয়। এরপর কলেজ শহিদ মিনারে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ রুহুল আমিনের সভাপ্রধানে এবং ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক বিজন কুমার সরকার ও কুলসুম আক্তার রিয়ার যৌথ সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন নারায়ণপুর ডিগ্রি কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ বজলুর রশিদ মজুমদার।
অনুষ্ঠানের এই পর্বে কবিতা আবৃত্তি ও দেশাত্মবোধক সঙ্গীতের প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হয়। কলেজের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে প্রাণবন্ত ছিলো সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পর্ব।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কলেজের যুক্তিবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. আফম সাইফুর রহমান ভূঁইয়া, নারায়ণপুর ডিগ্রি কলেজ গভর্নিংবডির বিদ্যোৎসাহী সদস্য মোহাম্মদ রাশেদ খান, হিতৈষী সদস্য ও নারায়ণপুর যুবলীগের সভাপতি মোঃ কামরুজ্জামান মুন্সী, নারায়ণপুর পৌর যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ রবিউল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহিদ খান বাবু প্রমুখ। শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখে কাজী আলাউদ্দিন, মোঃ ফারুক প্রধান, শাকিয়া আক্তার প্রমুখ।
প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ। সবশেষে ভাষা শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন সহকারী অধ্যাপক মোঃ হাবীব উল্লাহ ভূঁইয়া। উপস্থিত ছিলেন নারায়ণপুর ডিগ্রি কলেজ গভর্নিংবডির অভিভাবক সদস্য মোঃ আব্দুল লতিফ, মোঃ কামরুজ্জামান প্রধান, পৌর আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ শাহআলম খান, পৌর শ্রমিক লীগ সভাপতি মোঃ শাহজাহান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করেন দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী মোঃ ফারুক প্রধান, গীতা পাঠ করেন সাগরিকা মল্লিক।