প্রকাশ : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০
বিশ্ব শান্তিকল্পে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় নিত্যানন্দ ত্রয়োদশী উপলক্ষে পুরাণবাজার শ্রী শ্রী গৌরনিত্যানন্দ মহাপ্রভুর মন্দিরে অনুষ্ঠিত ১৬৩তম বাৎসরিক উৎসব গত ৯ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার মহোৎসব ও মহাপ্রসাদ বিতরণের মধ্য দিয়ে সস্পন্ন হয়েছে। এদিন হাজারো ভক্ত নর-নারী মন্দির প্রাঙ্গণে উপস্থিত থেকে মহাপ্রসাদ গ্রহণ করেন। মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক শিমুল চন্দ্র সাহা মন্দিরের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায়সহ মন্দির উন্নয়ন কর্মকর্তাদের পরামর্শক্রমে তার পুরাণবাজার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন বিশাল হলরুমে প্রসাদ গ্রহণের সুবিধার্থে সকলের সহযোগিতা নিয়ে চেয়ার-টেবিলের ব্যবস্থা করেন। যেখানে ভক্ত নর-নারীগণ স্বাচ্ছন্দ্যে ধর্মীয় পরিবেশে প্রসাদ গ্রহণ করে তৃপ্তির ঢেঁকুর তোলেন। এমন আয়োজনে সকলেই সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
এর আগের দিন-রাতে মন্দির ও উৎসব পরিচালনা কমিটির শিমুল সাহা, মানিক সাহা, প্রমোদ চন্দ্র দাস, সুকান্ত সাহা টিটু, সুবল সাহা, নেপাল সাহা, দুলাল চন্দ্র রায়, শেখর পাল, প্রভাস চন্দ্র সাহা, গিরীধারী সাহা, দীপু ধর, সবুজ পোদ্দার, রঞ্জিত সাহা, গোবিন্দ সাহা, দীপু সাহা, রামু সাহা, লিটন সাহা, দীপক সাহা, উত্তম সাহা, রঞ্জিত পাল, অনু সাহা, বিনু সাহা, কানাই সাহা, শম্ভু সাহা, কাজল সাহা, নারু বণিকসহ ভক্তবৃন্দ মন্দিরের সেবাইত অনিক চক্রবর্তীর পরিচালনায় ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশে মহোৎসবের আচরণবিধি সম্পন্ন করেন। অন্যান্য বছরের চেয়ে এ বছর ভক্তসমাবেশ ছিল লক্ষ্যণীয়। কীর্তন চলাকালীন অধিক রাত অবধি ভক্তদের ব্যাপক উপস্থিতি পরিলক্ষিত হয়।
উল্লেখ্য, গত ১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় শ্রীমদ্ভাগবত পাঠের মধ্যে দিয়ে ১৬৩তম বাৎসরিক উৎসবের শুভ সূচনা হয়। শ্রী শ্রী নিত্যানন্দ প্রভুর আবির্ভাব তিথি উৎসব উপলক্ষে পর্যায়ক্রমে মন্দির প্রাঙ্গণে নিত্যানন্দ প্রভুর জন্মলীলা পাঠ, পারায়ণ, অভিষেক ও পূজা অন্তে চরণামৃত ও প্রসাদ বিতরণ, সন্ধ্যা আরতি, শ্রী শ্রী গৌর নিত্যানন্দ মহাপ্রভুর ভক্তবৃন্দ সহযোগে গঙ্গা আবাহন, মঙ্গলঘট স্থাপন, ৪০ প্রহর ব্যাপী (৫ দিন) শ্রী শ্রী তারকব্রহ্ম হরিনাম যজ্ঞের শুভ অধিবাস এবং ৪ ফেব্রুয়ারি শনিবার ব্রাহ্ম মুহূর্ত থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অহোরাত্র তারকব্রহ্ম হরিনাম যজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয়। পরদিন গত ৯ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সূর্যোদয়ে নামযজ্ঞ সমাপনান্তে কুঞ্জভঙ্গ, কীর্তন সহযোগে নগর পরিভ্রমণ, দধিভা- ভঙ্গ, জলকেলী ও শান্তিবারি গ্রহণ করা হয়। মধ্যাহ্নে মহাপ্রভুর ভোগারাধনা ও ভোগারতি অন্তে মহাপ্রসাদ বিতরণের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সমাপ্তি ঘটে।