সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪  |   ১৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০২২, ০০:০০

‘সূর্যমুখীদের জন্য’
অনলাইন ডেস্ক

প্রিয় কচি-কাঁচার সাথী! তোমরা আমাদের তৃষিত প্রজন্ম। আমরা স্বপ্নসারথী তোমাদের। খুব করে চাই তোমাদের মাঝে আমরা বেঁচে থাকি অনন্তকাল, যেমন কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলার প্রতিষ্ঠাতাণ্ড আবদুল্লাহ আল-মুতী, কবি সুফিয়া কামাল, রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন, কবি জসিম উদ্দীন, অধ্যাপক অজিত কুমার গুহ, ড. কুদরত-ই-খোদাসহ আরো অনেকেই বেঁচে আছেন আমাদের মাঝে কিংবদন্তি হয়ে। আমাদের প্রজন্মকে নিয়ে ওনারা স্বপ্নের জাল বুনেছেন, আমরা ওনাদের নির্দেশিত পথে হেঁটেছি, আমরা বড় হয়েছি ওনাদের স্বপ্নের সমান হয়ে। আদরের সূর্যমুখীরা, তোমরাই প্রজন্মের সেরা সন্তান, তোমরা গড়বে সম্ভাবনাময় একটি গৌরবোজ্জ্বল বাংলাদেশ।

তোমরা কি জান? ১৯৬৮ সনের ৫ নভেম্বর মতলব সূর্যমুখী কচি-কাঁচার মেলার জন্ম। সূর্যমুখী ফুলের দৃষ্টি যেমন আলোর দিকে তেমনি অন্ধকার হতে আলোর দিকে ধাবিত হবার ব্রত নিয়ে তোমাদের জন্য গড়ে তোলা হয়েছে, মতলব সূর্যমুখী কচি-কাঁচার মেলা। ‘ছোটদের পরিচালনায় ছোটদের জন্য নিজস্ব এ সংগঠন’ যেখানে ছোটদের প্রাধান্য দিয়ে সকল অনুষ্ঠান করা হয়।

তোমাদের একটি কথা বলছি. আমি মেলার আহবায়ক থাকাকালীন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেছি, আবার অনেক অনুষ্ঠানে উপস্থাপকের দায়িত্ব পালন করেছি। মতলব সূর্যমুখী কচি-কাঁচার মেলায় আমাদের অনেক অবিস্মরণীয় স্মৃতি আছে যেগুলো তোমাদের উপদেষ্টামণ্ডলী, কার্যনির্বাহী পরিষদ, প্রবীণ সদস্য, নবীন সদস্য সকলে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তোমাদের সঙ্গে স্মৃতিচারণ করবেন।

এখন আমাদের দায়বদ্ধতা তোমাদেরকে সম্ভাবনাময় বাংলাদেশের গতিপথের সঙ্গে পরিচয় করে দেওয়া। তোমরা গড়বে প্রগতিশীল বাংলাদেশ আমরা তোমাদের হাত ধরে এগিয়ে যাব, কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশের তৃষিত ফসল ঘরে তুলতে।

শিশুরা তোমাদের বলি, মতলবের সভ্যতা ও সংস্কৃতির ঐতিহ্যে মায়াবী সৌধ ‘মতলব সূর্যমুখী কচি-কাঁচার মেলা।’ মেলার অন্যতম প্রকল্প বিদ্যাপীঠ ‘কচি-কাঁচা প্রি-ক্যাডেট স্কুল’ তোমাদের মেলার চেতনার উজ্জীবক। সমকালীন প্রেক্ষাপট, প্রগতিশীল বাংলাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্যকে লালন করছে মতলব সূর্যমুখী কচি-কাঁচার মেলা ও কচি-কাঁচা প্রি-ক্যাডেট স্কুল।

আমরা যাকে বড় স্যার বলি, ‘মাকসুদুল হক বাবলু ভাইয়ের নেতৃত্বে একদল চৌকস নিবেদিত প্রাণ মানুষ কচি-কাঁচাদের শারীরিক ও মানুষিক উৎকর্ষ সাধন, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধকরণে উজ্জীবিত করছে। পতাকা উত্তোলন, শপথ, ব্রতচারী, ছবি আঁকা, প্যারেড, কুচকাওয়াজ, ডিসপ্লে, বার্ষিক প্রশিক্ষণ ক্যাম্প, লাঠিখেলা প্রদর্শন, দেয়াল পত্রিকা, শিশু সেমিনার, আবৃত্তি, নাচ, গান, বিতর্ক, বিবিধ বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করে প্রজন্মকে সাংস্কৃতিক বলয়ে দক্ষ করে তুলছেন তোমাদের। এছাড়া বিভিন্ন জাতীয় দিবস পালনে মতলব সূর্যমুখী কচি-কাঁচার মেলা তোমাদের দেশাত্মবোধে প্রণোদিত করতে প্রতিষ্ঠার পর হতে বাস্তবায়ন করে আসছে বর্ণিল সাংস্কৃতিক কার্যক্রম, যে কার্যক্রমকে সফল ও সার্থক করছো তোমরা।

তোমরা সূর্যমুখীরা আমাদের আলোর পথের অগ্রপথিক। বেচেঁ থাকো, দীর্ঘজীবী হও। সূর্যমুখী কচি-কাঁচার মেলা ও প্রি-ক্যাডেটের নাম বাঙ্গালি ঐতিহ্যে স্বর্ণাক্ষরে লিখে রেখো।

স্রষ্টা সকলের সহায় হোন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়