প্রকাশ : ০৫ অক্টোবর ২০২২, ০০:০০
শারদীয় দুর্গোৎসবে ধর্মণ্ডবর্ণ নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায়ের সকল মানুষকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। হিন্দু সম্প্রদায়ের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। দুর্গাপূজা হিন্দু সম্প্রদায়ের
হলেও উৎসব সবার। আবাহমান কাল থেকেই এই ভাবচেতনা ও ঐক্যবোধই আমাদের চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছে। আর এই চেতনা গড়ে উঠেছে অভিন্ন ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি থেকে। অসাম্প্রদায়িতক চিন্তা-চেতনা নিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ স্বাধীন করেছেন। তিনি চেয়েছিলেন সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়তে। কিন্তু ঘাতকেরা তাঁকে সে সুযোগ দেয়নি। তারা চেয়েছিলো বাংলাদেশে সম্প্রদায়িক সম্প্রতি বিনাস করতে। কিন্তু তারা তা পারেনি। আজ জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা দেশের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করতে গিয়ে প্রতিবন্ধকতার শিকার হচ্ছেন। কিন্তু তিনি থেমে থাকেননি। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন উন্নয়নের দ্বারপ্রান্তে। আজ আমরা সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশের গর্বিত নাগরিক। তা সম্ভব হয়েছে জননেত্রী শেখ হাসিনার কল্যাণে। আজ আমরা ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে আবদ্ধ থেকে একে অপরের উৎসবে যোগ দেই। আজ মহাসাড়ম্বরে উদযাপিত হচ্ছে শারদীয় দুর্গোৎসব। এই উৎসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে, অনৈক্যের বিরুদ্ধে, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে। দেবী দুর্গা ন্যায় ও সত্য প্রতিষ্ঠায় অসুর নিধন করে পৃথিবীতে শান্তি স্থাপন করেছেন। আমরা মাতৃবন্ধনার মধ্য দিয়ে অসুর শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করবো। সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলবো- শারদীয় উৎসবে এই হোক আমাদের শপথ।
সুজিত রায় নন্দী
উপদেষ্টা, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ।