প্রকাশ : ০১ অক্টোবর ২০২২, ০০:০০
১৩৩০ হিজরিতে পাঞ্জাবে খৃস্টান পাদ্রীদের সাথে তাঁর প্রথম বাহাস হয়। ঐ বাহাসে পাদ্রীগণ মুশরিক সাব্যস্ত হন এবং পরাজয় বরণ করেন। তিনি আম জলসায় শিয়াদেরকে বাহাসের চ্যালেঞ্জ প্রদান করেন। উক্ত জলসায় তিনি শিয়াদেরকে ইমাম হোসাইন (রাঃ)-র হত্যাকারী ও বে-দ্বীন সাবেত করেন এবং তাদেরকে মৃত্যু পর্যন্ত বাহাসের চ্যালেঞ্জ প্রদান করেন। তিনি আম জলসায় (পূর্ব পাঞ্জাব) লা-মাযহাবীদের সাথে বাহাস করেন। তাদের পক্ষে ছিলেন মাওলানা সানাউল্লাহ্ আমরাসসারী। তিনি আম জলসায় তাদেরকে কোরআন ও হাদীস দ্বারা বে-দ্বীন সাবেত করতে থাকেন। কিন্তু আজ অবধি কোনো প্রত্যুত্তর আসেনি। ১৩৪৬ হিজরিতে ইউপি শাহজাহানপুরে দেওবন্দীদের প্রধান মুনাযির মৌলভী আবুল ওফাকে মুনাযেরের খোলা ময়দানে পরাস্ত করেন। অপমাণিত ও লাঞ্ছিত হয়ে মৌলভী সাহেব প্র¯্রাবের বাহানা দিয়ে মুনাযিরের ময়দান হতে পলায়ন করেন। ১৩৪৭ হিজরিতে বাঁশ বেরেলীতে তিনি দেওবন্দী আলেমগণকে চ্যালেঞ্জ প্রদান করেন। মুনাযিরায় উপস্থিত ছিলেন মৌলভী আবুল ওফা শাহ্জাহানপুরী, দেওবন্দ মাদ্রাসার প্রধান মৌলভী আবদুল হোসাইন আহম্মদ, মৌলভী তৈয়্যব, দেওবন্দ মাদ্রাসার মুহতামিম মৌলভী আবদুস শাকুর কাকুরভী। ইমামে রাব্বানী (রাঃ) সাহেব সেখানে উপস্থিত হলে দেওবন্দী ওহাবী গোষ্ঠীর হাজার হাজার আলেম পুলিশের সহায়তায় সেখান হতে পলায়ন করে। এ পরাজয়ের আঘাত নিদারুণভাবে লাগল ঈমারাতুল ওলুমের প্রধান মুদাররিস মৌলভী ইয়াসিনের অন্তরে। এটা ছিল সুন্নীদের জন্য এক বিরাট সাফল্য। তারা (সুন্নীরা) এক বিরাট জলসার আয়োজন করে জামেয়া-ই-রেজভীয়াতে। তাতে অংশগ্রহণ করেন জামেয়া-ই-রেজভীয়ার সদরুল আফাজেল, ওস্তাদুল ওলামা সাইয়্যেদ মুহাম্মদ কাসুয়াসুরী, মালেকুল ওলামা, শাইখুল হাদীস আল্লামা জাফরুদ্দীন বিহারীসহ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের বহু প্রখ্যাত আলেম। এ জলসায় ইমামণ্ডই আহলুস্ সুন্নাত আলা হযরত বেরলভীর জ্যেষ্ঠ পুত্র ও খলীফা হুজ্জাতুল ইসলাম হযরত আল্লামা কাদের রেজা খান সাহেব বেরলভী ইমামে রাব্বানীকে সম্মানার্থে ‘আবু নসর' (সাহায্যের জনক) খেতাবে ভূষিত করেন।
১৩৪৮ হিজরিতে দিল্লীর ফতেহপুর জামে মসজিদে তাবলীগ জামাতের প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস মেওয়াতী মিলাদণ্ডকিয়াম বাহাসে প্রায় দশ হাজার লোকের এক জলসায় ইমামে রাব্বানী (রাঃ)-এর নিকট পরাজয় বরণ করে। ইলিয়াস মিলাদ ও কেয়ামকে হারাম ও শিরক বলে দাবি করে। অথচ মাকরূহ পর্যন্ত সাবেত করতে সমর্থ হয়নি। ইমামে রাব্বানী (রাঃ) তাকে তওবা করতে বললে সে কর্ণপাত করে না। ফলে চতুর্দিক হতে জুতা বৃষ্টির মতো তার উপর পড়তে থাকে এবং সে পলায়ন করে। অতঃপর ইলিয়াস ইমামে রাব্বানী (রাঃ)-কে দিল্লীতে তাবলীগ জামাতে শামিল হবার দাওয়াত দেয়। ইমামে রাব্বানী (রাঃ) সাহেব তাঁর সামনে ‘ছয় উছুল’ কোরআন ও হাদীস দ্বারা সাবেত করতে বলেন। ইলিয়াস তাতে অক্ষম হয়। ইমামে রাব্বানী (রাঃ) বলেন, ইলিয়াস তুমি ছয় উছুলের একটি নতুন দ্বীন বানিয়েছ। এটা করে তুমি যে ইসলাম হতে খারিজ হয়ে গিয়েছ তাতে কোনো সন্দেহ নেই। মুসলমানগণ কখনও আল্লাহর পাঁচ উছুল বিশিষ্ট দ্বীন ছাড়বে না এবং তোমার ছয় উছুলের দ্বীন গ্রহণ করবে না। হ্যাঁ, তবে মুনাফেক ও বেঈমানের দল তোমার দ্বীনে দাখেল হতে পারে। আমি তোমাকে কেয়ামত পর্যন্ত সময় দিলাম। তুমি যখন এবং যেখানে চাও পাঁচ উছুলের হক দ্বীনের মোকাবেলায় ছয় উছুলের দ্বীন সাবেত কর, তোমার বিদ্আত চিল্লা সাবেত কর। তোমরা যদি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের ছয় শত বছর পরে প্রবর্তিত মিলাদ ও কেয়ামকে বিদআত, হারাম ও শিরক বলে থাক, তাহলে প্রায় সাড়ে তেরশ বছর পর তুমি যে চিল্লা জারী করেছ তা কেন বিদ্আত ও হারাম হবে না? তাছাড়া মনগড়া সওয়াবের মাসয়ালা বলে কেন জাহান্নামের হকদার না? উত্তর দাও। তোমার কি নবী পাক (দঃ)-এর এ হাদীস ইয়াদ নেই, বিদআতী চিল্লার রীতি চালু করে যে দলিলহীন মনগড়া মাসয়ালাহ্ বলবে পরিণাম জাহান্নাম। প্রত্যেকটি বিদআতই গোমরাহী এবং প্রত্যেক গোমরাহীর পথই দোযখে নিয়া পৌঁছায়। এ হাদীস অনুসারে তুমি কেন জাহান্নামী হবে না? মৃত্যু পর্যন্ত কোনো উত্তর দিতে পারেনি। শুধু তাই নয়, তাবলিগী জামাতের আমীর গোষ্ঠীর কোন আমীরই আজ পর্যন্ত ঐ চ্যালেঞ্জের উত্তর দিতে পারে নি। ইনশায়াল্লাহ্ কেয়ামত পর্যন্ত এর উত্তর কেউ দিতে পারবে না।
১৩৪৯ হিজরিতে ইমামে রাব্বানী (রাঃ) সাহেব দিল্লীর আমিনিয়া মাদ্রাসার প্রধান মুদাররিস কেফায়েতুল্লাহকে বাহাসের চ্যালেঞ্জ প্রদান করেন। তিনি তার বাড়ির পাশেই জলসা করে তাকে চ্যালেঞ্জে অবতরণ করতে আহ্বান জানান এবং তার গুরুজনদের ঈমান সাবেত করার জন্য বলেন। তিনি অবমাননা ও লাঞ্ছনার ভয়ে ঘর হতে বের হননি।
যখন হিন্দুস্থান দুইভাগ হয়ে গেল তখন ভারতের মুসলমানদের ওপর হিন্দুদের নিপীড়ন ও নির্যাতনের কোনো সীমা-পরিসীমা রইল না। তারা মসজিদ সমূহ ভাঙতে শুরু করল। মুসলমান রমণীগণকে নির্যাতন করতে লাগল। মুসলমানদের হত্যা করা ও তাদের ধন-সম্পদ লুটতরাজ করা হিন্দু শিখদের পেশায় পরিণত হল। রামপুরে এ সমস্ত জুলুম ও অত্যাচার ব্যাপকভাবে বিস্তৃতি লাভ করল। যত আলেম ও পীর ছিলেন সকলেই ভয়ে আতংকগ্রস্ত। ঐ চরম মুহূর্তে ইমামে রাব্বানী (রাঃ) হিন্দুদের বিরুদ্ধে জেহাদের ফতওয়া দেন। তিনশত তেরজন মুজাহিদের একটি বাহিনী গঠন করে তিনি জেহাদের ময়দানে নামিয়ে দেন। মাগরেব হতে ফজর পর্যন্ত হিন্দুদের বিরুদ্ধে ভীষণ জেহাদ চলে। রামপুর স্টেটের সরকার সংবাদ পেয়ে ইমামে রাব্বানী (রাঃ)-কে গ্রেফতার ও জেলে প্রেরণ করেন। তাঁকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। ইমামে রাব্বানী (রাঃ) হাইকোর্টে আপিল করেন এবং দুই মাস পরে তিনি কারাগার হতে মুক্তিলাভ করেন। অতঃপর তিনি রামপুর সরকার স্টেটের নওয়াব রেজা আলী খানের বিরুদ্ধে জেহাদের হুকুম দেন। ফলে তিনদিন পর্যন্ত রামপুরে কোনো সরকারই ছিল না। বাধ্য হয়ে সরকার দিল্লী হতে শিখ সৈন্য আনয়ন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
অতঃপর আল্লাহ্র নবী (দঃ)-এর গায়েবী নির্দেশে সে সময় তিনি হিজরত করে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে চলে আসেন (বর্তমানে তা বাংলাদেশ)। ১৯৪৯ খ্রিঃ সনে তিনি কুমিল্লার এসডিও'র (মহকুমা প্রশাসক) সভাপতিত্বে মিলাদ ও কেয়ামের এক বাহাস করেন। তাঁর বিরুদ্ধে ছিল বাঙালি ওহাবী দল। তারা কেয়ামকে হারাম ও শিরক বলত। ইমামে রাব্বানী (রাঃ) সাহেব কেয়ামকে কোরআন, হাদীস, ফেকাহ্, উছুল দ্বারা ওয়াজিব সাবেত করেন। ওহাবী আলেমগণ কোনো উত্তর দিতে সক্ষম হননি।
১৯৫৩ সালে কুমিল্লা জেলাধীন কচুয়া থানার কারী ইবরাহীমের পুত্র কুমিল্লা ম্যাজিস্ট্রেটের কোর্টে ইমামে রাব্বানী (রাঃ) সাহেবের নামে পাঁচশত ধারায় মোকদ্দমা করে; কারণ তিনি দেওবন্দী আলেমদেরকে বেঈমান বলেন। অতঃপর ম্যাজিস্ট্রেট সাহেব তার সামনে উভয় পক্ষ হতে ওলামাগণকে কোরআন-হাদীস দ্বারা বাহাস করে উভয়ের সত্যতা প্রমাণের সুযোগ দেন। কথা থাকে, ইমামে রাব্বানী (রাঃ) সাহেব দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁকে সাজা দেয়া হবে। প্রায় দশ হাজার লোকের সমাবেশে সাতদিন বাহাস হয় বাইশটি মাসয়ালাহর উপর। উক্ত বাহাসে কয়েকশত ওহাবী ওলামা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু আল্লাহর অশেষ রহমতে তারা প্রতিদিন প্রতিটি মাসয়ালাহর উপর তাদের সত্যতা প্রমাণে অপারগ হয় এবং চরমভাবে অপমাণিত হয়। ওহাবীদের পক্ষে আলেম ছিলেন মাওলানা তাজুল ইসলাম ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, মাওলানা আঃ ওহাব- মোহতামিম বড় কাটরা মাদ্রাসা, ঢাকা, মাওলানা কোরবান আলী। তারা প্রত্যেকে তাদের বুজুর্গদের উপর যে কুফরী ফতোয়া দেয়া হয়েছে তা খণ্ডাতে পারেনি। তাদের বুজুর্গদের মধ্যে মৌঃ কাশেম নানুতুবী, মৌঃ রশিদ আহমেদ গাঙ্গুহী, মৌঃ খলিল আহাম্মদ আমবেটবী, মৌঃ আশরাফ আলী থানভী প্রমুখ। ইমামে রাব্বানী (রাঃ) সাহেব তাদের লিখিত বই-পুস্তকের দ্বারা তাদেরকেই কোরআন-হাদীছ, ইজমা-কিয়াস-এর ভিত্তিতে জবরদস্ত বেঈমান সাব্যস্ত করেছেন।
ওহাবীদের দাবি ছিল আল্লাহর নবী (দঃ) গায়েব জানেন না। যদি কেহ এ বিশ্বাস রাখে যে- নবী পাক (দঃ) গায়েব জানেন তবে সে মুশরিক। ইমামে রাব্বানী (রাঃ) সাহেব ইসলামের প্রতিটি দলিল দ্বারা শক্তভাবে প্রমাণ করেছেন যে, নবী করীম (দঃ)-এর ইলমে গায়েব ছিল এবং তা আল্লাহপাক তাঁকে জানিয়ে দিয়েছেন।
পরিশেষে ম্যাজিস্ট্রেট সাহেব ইমামে রাব্বানী (রাঃ) সাহেবের পক্ষে রায় দিয়ে তাদের দেয়া মামলা ডিসমিস করে দেন। বাংলাদেশের ওহাবীরা বিভিন্ন সময় বাইশ নাম্বার মোকদ্দমা করে ইমামে রাব্বানী (রাঃ) সাহেবের বিরুদ্ধে। সমস্ত মোকাদ্দমায় তিনি জয়লাভ করেন। ১৯৭০ সালে যখন ইমামে রাব্বানী (রাঃ) সাহেব হজ্বের জন্য মক্কা শরীফে গমন করেন, তখন বাংলাদেশী ওহাবীরা সৌদি ওহাবী হুকুমতের নিকট তাঁর বিরুদ্ধে নালিশ করে। হজ্বের পরে ইমামে রাব্বানী (রাঃ) সাহেব যখন মাকামে ইব্রাহীমের নিকট বসেছিলেন তখনই সৌদি ওহাবী প্রায় দশ বারোজন আলেম তাঁর সম্মুখে উপস্থিত হয়। তারা বলতে থাকে নবী ও অলির উছিলা ধরা শিরক, নবীকে হায়াতুন্নবী মানা শিরক, নবীর ইলমে গায়েব আছে এটা যে মানে সে মুশরিক। ইমামে রাব্বানী (রাঃ) সাহেব প্রতিউত্তরে বলেন যে, এ সমস্ত আকিদা যে পোষণ করে সে মুশরিক এবং নবী ও ওলীর উছিলা ধরা জায়েজ। অতঃপর বাহাস শুরু হয় আরবী ভাষায়। প্রায় এক ঘন্টা বাহাস হয় এবং ওহাবী আলেমগণ সম্পূর্ণভাবে তর্কযুদ্ধে পরাস্ত হয়। সে সময় সৌদি পুলিশ অফিসার তাঁকে বলে, ‘হেরেম শরীফে ঝগড়া করবেন না’। জবাবে ইমামে রাব্বানী (রাঃ) বলেন, “আমি হেরেম শরীফে ঝগড়া করিনি বরং সত্য প্রকাশ করছি। এটা ইবাদতের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত”।
অতঃপর ইমামে রাব্বানী (রাঃ) সাহেব মদীনা শরীফে যান এবং নবী পাক (দঃ)-এর রওজা শরীফ জিয়ারত করেন। জিয়ারত শেষে চাচাত ভাইয়ের ছেলের সন্ধানে মদিনা শরীফের দারুল হাদীস মাদ্রাসায় বহু আলেমকে দেখতে পান। তাদের সাথে কথোপকথনের এক পর্যায়ে তর্কের সৃষ্টি হয়। ওহাবীদের আকিদা বাইনাছ ছালাতাইন (দুই ওয়াক্তের নামাজ এক ওয়াক্তে পড়া) জায়েজ। কিন্ত ইমামে রাব্বানী (রাঃ) কোরআন-হাদীস দ্বারা প্রমাণ করেন যে এটা কোনভাবেই জায়েজ নয়।
১৯৭৫ খ্রিঃ ২৩ এপ্রিল ইমামে রাব্বানী আবিদ শাহ্ মোজাদ্দেদী আল-মাদানী (রাঃ) সিলেটের হবিগঞ্জে এক সুন্নী সম্মেলনে যান। সে সম্মেলনে সভাপতি ছিলেন তিনি ছিল। সেখানে প্রায় একশত ওহাবী মৌলভী উপস্থিত ছিল। মাওলানা আবদুল লতিফ ফুলতলী ওয়াজ আরম্ভ করলে কতিপয় ওহাবী মৌলভী তাকে তাবলীগ সম্বন্ধে অভিমত প্রকাশ করতে বলেন। ফুলতলীর পীর সাহেব তাবলীগ জামাত সম্বন্ধে কোনো বক্তব্য না রেখে শুধু বলেন, “আমি তাবলীগ জামাতকে পছন্দ করি না। আমি কাহাকেও কাফের-টাফের বলি না।” তারপর ইমামে রাব্বানী (রাঃ) মাইক হাতে নিয়ে সমস্ত ওহাবীদেরকে কাফের সাব্যস্ত করেন তাদেরই লিখিত বই দ্বারা। তাবলীগ জামাতের প্রতিষ্ঠাতা মৌলভী ইলিয়াসকে তারই লিখিত কিতাব 'মালফুজাত' দ্বারা প্রমাণ করেন যে, সে মিথ্যা নবুয়তের দাবিদার এবং ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের পরিবর্তে মনগড়া ছয় স্তম্ভ বানিয়ে সে ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে গেছে। এভাবে তিনি বাংলার একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে ইসলাম বিকৃতিকারীদের বিরুদ্ধে আপোষহীন সংগ্রাম চালিয়ে যান জীবনের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করা পর্যন্ত।
বিশেষ করে তিনি তাঁর যুগে একমাত্র ব্যক্তি যিনি গোটা মুসলিম জাতিকে নজদী ওহাবীর সর্বগ্রাসী বিদআতের খপ্পর হতে মুক্ত করে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের উপর এনে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। কোরআন ও সুন্নাহ বর্ণিত বায়া'তে রাসূল (দঃ) জারী করেছেন।
তিনি দ্বিতীয় খলীফা হযরত ওমর (রা)-এর খান্দানের লোক। হযরত ওমর (রাঃ)-এর দ্বারা ইসলাম শক্তিশালী হয়। তাঁরই খান্দানের হলেন ইমামে রাব্বানী সাইয়্যেদ আবেদ শাহ্ মোজাদ্দেদী আল মাদানী (রাঃ)। তাঁর তেজস্বীয়তা ছিল হযরত ওমর ফারুক (রাঃ)-এর মতই। তিনি ২৩শে আশ্বিন, ১৩৯৫ বাংলা, ২৫শে সফর ১৪০৯ হিজরি মোতাবেক ৮ই অক্টোবর ১৯৮৮ ইং সকালে ঢাকার গেন্ডারিয়াস্থ তাঁর জামাতার বাসভবনে ১২৬ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহে ---- রাজেউন)।