প্রকাশ : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০০:০০
ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর। তাই এখানে ইলিশকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে সংস্কৃতি চর্চা এবং উদ্যাপিত হয় উৎসব। এই রকম একটি উৎসবের নাম ‘ইলিশ উৎসব’। ১৫মে ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ঐতিহ্যবাহী সংগঠন চতুরঙ্গের মহাসচিব হারুন আল রশীদ এই উৎসবের রূপকার। টেলিভিশনে ২০০৮ সালে নিউইয়র্কের বাঙালি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের ডিপ ফ্রিজে চাঁদপুরের ইলিশের বিজ্ঞাপন দেখে তার মনে এই উৎসবের চেতনাবীজের অঙ্কুরোদগম হয়। ২০০৯ সালের জুলাই মাসে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত তিন দিনব্যাপী এই লোকজ উৎসব বর্তমানে সপ্তাহকাল ব্যাপ্তি অর্জন করে ১৪তম আসর অতিক্রম করেছে। মা ও জাটকা রক্ষা, প্রান্তিক জেলেদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি, জনগণের মধ্যে জাটকা ও মা ইলিশ নিধনের বিরুদ্ধে জনমত গঠন ও ইলিশ বিষয়ক সাহিত্য সংস্কৃতির চর্চাকে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্য নিয়ে এই উৎসবে র্যালি, ইলিশ ভাবনা ও সেমিনার, ইলিশ বিষয়ক গোলটেবিল বৈঠক, ইলিশ রেসিপি প্রতিযোগিতা, ইলিশ রক্ষা ও উৎপাদন বৃদ্ধি সংক্রান্ত স্কুল ও কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের প্রীতি বিতর্ক, ইলিশ বিষয়ক কবিতা পাঠের আসর, কবি, সাহিত্যিক ও গুণীজন সংবর্ধনা, লোকগান ও লোকনৃত্য প্রতিযোগিতা, ইলিশ ঘুড্ডি উৎসব, ইলিশ বিষয়ক চিত্রাঙ্কন ও আলোকচিত্র প্রতিযোগিতা ও প্রদর্শনী এবং স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের পরিবেশনা ইত্যাদি বিবিধ মৌলিক কর্মসূচির সমন্বয় ঘটে। সাধারণত সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহ কিংবা অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। কেননা এ সময় ইলিশের প্রচুর উৎপাদন অব্যাহত থাকে।