বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ০২ জুলাই ২০২৪, ০০:০০

অসহায় পরিবারের পাশে ওসি আলমগীর হোসেন

মাহবুব আলম লাভলু ॥
অসহায় পরিবারের পাশে ওসি আলমগীর হোসেন

মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের মুল্লুক মাঝিরকান্দি গ্রামের বাসিন্দা অটোরিকশাচালক মইজ উদ্দিনের পরিবারকে সমাজচ্যুত করা হয়েছে। অমানবিক এবং আইনবহির্ভূত এ বিষয়টি মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আলমগীর হোসেন রনির দৃষ্টিগোচর হলে গতকাল ১ জুলাই সোমবার সকালে অটোরিকশাচালক মইজ উদ্দিনের বাড়িতে ছুটে যান তিনি। সঙ্গে করে নিয়ে যান চাল, ডাল, তেলসহ নানান খাদ্য সামগ্রী।

সামাজিক অপশাসনের শিকার হয়ে একঘরে করে রাখা এই পরিবারটিকে নিয়ে ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সংবাদ প্রচার হলে নিন্দার ঝড় ওঠে। এই অন্যায়ের বিচার দাবি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব হয়ে ওঠে মতলব উত্তরের সচেতন মহল। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে আমলে নেন মতলব উত্তর থানার ওসি আলমগীর হোসেন রনি।

এ বিষয়ে মইজ উদ্দিন জানান, আমাদের স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়াকে কেন্দ্র করে কোরবানি ঈদের আগে আমাদের সমাজের কয়েকজন মানুষ তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য আমার ও আমার পরিবারের উপর অমানবিক নির্যাতন চালিয়েছিলেন। এমনকি আমার পরিবারকে সমাজচ্যুত করে দিয়েছিলো। সমাজচ্যুত করায় মসজিদে নামাজ পড়া, বাচ্চাদের মক্তবে পড়তে নিষেধসহ কেউ আমারদের সঙ্গে কথা বললে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করার বিধান করা হয়েছিল। এমনকি সমাজের ভাগের কোরবানির এক টুকরো মাংস কেউ আমাদের দেয়নি। এ ঘটনা আমি মানুষকে জানালে তারা আমাকে সমাজচ্যুত করে। মতলব উত্তর থানার ওসি সাহেব আমার বাড়িতে চাউল, ডাল, তৈল ও অন্যান্য খাবারের জিনিসপত্র নিয়ে আসেন।

পরে ওসি স্যার থানায় সবাইকে ডেকে নিয়ে শাসিয়েছেন। এছাড়া যাদের নামে আমি সাধারণ ডায়েরি করেছি তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন। আমি স্যারের বিচারে খুশি হয়েছি। স্যার আমাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। এখন আমি এবং আমার পরিবার অনেক খুশি।

মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর হোসেন রনি জানান, সাংবাদিকের নিউজ ও ভুক্তভোগীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। এছাড়া ১ জুলাই সোমবার বৃষ্টিস্নাত পরিবেশে অসহায় ওই পরিবারটির জন্য আমার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে সাধ্য অনুযায়ী চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবার নিয়ে পরিবারটির পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি।

ওসি এ সময় অসহায় এই পরিবারের পাশে আছেন বলে আশ্বাস দেন এবং এ ঘটনায় জড়িতদের কাউন্সিলরকে সাথে নিয়ে থানায় তলব করেন। একইদিন দুপুরে থানা কম্পাউন্ডের বৈঠক খানায় উভয় পক্ষকে নিয়ে বসেন। এ সময় এই অপকর্মে জড়িতদের কড়া হুঁশিয়ারি জানিয়ে তিনি বলেন, একঘরে করে রাখার কোনো আইন নেই। এটা অমানবিক কাজ। এই কাজে যারা জরিত তারা সভ্য জগতের মানুষ নয় জানিয়ে যাদের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি আছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান। এছাড়া এই পরিবারের কোনো অন্যায় জুলুম নির্যাতন হলে উনি ব্যবস্থা নিবেন জানিয়ে সকলকে মিলেমিশে থাকার নির্দেশ দেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়