প্রকাশ : ০৮ নভেম্বর ২০২১, ০০:০০
ফরিদগঞ্জে মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা ফের বৃদ্ধি ॥ আতঙ্কে গাড়ির মালিকরা
ফরিদগঞ্জে আবারো মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা বেড়েছে। ফলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে গাড়ি চালকদের মাঝে। চলতি মাসের এক সপ্তাহেই বেশ কটি মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগীদের দাবি, সংস্লিষ্ট থানায় লিখিত অভিযোগ করলেও মোটরসাইকেল চোরচক্র থেকে যায় ধরা ছোঁয়ার বাইরে। আর থানা পুলিশের দাবি, চোর চক্রের সদস্যদের আটক করে আদালতে পাঠালে জামিনে এসে তারা ফের অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ে। পুলিশের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সর্বশেষ গত ৬ নভেম্বর শনিবার ফ্রেশ কোম্পানির মার্কেটিং অফিসার হিসেবে কর্মরত উপজেলার কড়ৈতলী গ্রামের জনৈক মিঠুন চন্দ্র দাসের রেজিস্ট্রেশনকৃত মোটরসাইকেল চুরি হয়। এ ঘটনায় থানায় লিখিত একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়।
|আরো খবর
জানা গেছে, সপ্তাহ খানেক পূর্বে উপজেলার ৮নং পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের ইছাপুরা গ্রামের প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক মোঃ মোজাম্মেল হকের এফআরসি মডেলের মোটরসাইকেল চুরি হয়। পশ্চিম ভাওয়াল গ্রামের পাটওয়ারী বাড়ি থেকে এফজেড মডেলের একটি মোটরসাইকেল চুরি হয়। এছাড়া ফরিদগঞ্জ উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন এলাকায় সম্প্রতি কয়েকটি মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগীরা জানায়, মোটরসাইকেল চুরি হলেও ঝামেলা এড়াতে অনেকেই থানা পুলিশ পর্যন্ত আসে না। এছাড়া চুরিকৃত গাড়ির রেজিস্ট্রেশন না থাকলেতো কোন কথাই নেই।
বিষয়টি নিয়ে সচেতন মহলের দাবি, যে হারে মোটরসাইকেল চুরি হচ্ছে, এতে সকলকে সাবধানতার সাথে গাড়ি রাখতে হবে। কারণ, সিসি ক্যামেরার ফুটেজেও অনেক সময়ে চোরকে দেখলে বা শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না।
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহীদ বলেন, মোটরসাইকেল মালিকদেরও একটু সতর্ক থাকা প্রয়োজন। ইতিমধ্যে চোর চক্রের অনেক সদস্য আমরা আটক করে আদালতে পাঠিয়েছি। তারা হয়তো জামিনে এসে আবার এসব ঘটনা ঘটিয়ে চলছে। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।