শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।
  •   রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করলেন না সমাজী।

প্রকাশ : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

শাহরাস্তিতে মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

অনলাইন ডেস্ক
শাহরাস্তিতে মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

শাহরাস্তি উপজেলার ঠাকুরবাজারে অবস্থিত শাহরাস্তি চিশতিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ বেলাল আহমেদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ২০১৫ সালে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে একের পর এক মনগড়া সিদ্ধান্ত, অদূরদর্শিতা ও নানা অনিয়মের কারণে অভিযোগ উঠে। অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে একাধিক অভিভাবক ও শিক্ষক লিখিত অভিযোগ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বিষয়টি তদন্তের নির্দেশনা দেন।

বিভিন্নস্থানে জানা যায়, মো. বেলাল আহমেদ মনগড়াভাবে মাদ্রাসায় আসা-যাওয়া করেন। শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। তাদেরকে বিভিন্ন সময় মিটিংয়ে কোনো শিক্ষক তার মতের বিপরীতে কোনো কথা বললে তাকে মিটিং শেষে নিজের রুমে একলা ডেকে নিয়ে ধমক দেন এবং তাকে মারাত্মকভাবে হয়রানি করেন।

শিক্ষকদের বেতন স্কেল পরিবর্তন ও বিভিন্ন সরকারি সুবিধা দিতে সরকারি বিধি লঙ্ঘন করেন এবং এসব কাজের জন্যে শিক্ষকদের নিকট থেকে জোরপূর্বক অর্থ আদায় করেন। মাদ্রাসায় জেডিসি, দাখিল ও আলিম পরীক্ষার কেন্দ্র স্থাপনের কথা বলে শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে এবং মাদ্রাসার আয় থেকে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

শিক্ষক-কর্মচারীদের নিকট থেকে তাদের নাম, পদবি, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ইত্যাদি সংশোধনের কথা বলে দুইবারে প্রায় লক্ষাধিক টাকা নিয়েছেন, কিন্তু এ সংক্রান্ত কোনো কাজই তিনি করেননি। মিনিস্ট্রি অডিটের সময় শিক্ষকদেরকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে তাদের নিকট থেকে তিন লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। মাদ্রাসার টাকায় কেনা বিভিন্ন আসবাবপত্র নিজের বাসায় নিয়ে যান।

অভিযুক্ত অধ্যক্ষকে মাদ্রাসায় গিয়ে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো বক্তব্য না দিয়ে সংযোগ কেটে দেন।

লিখিত অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইয়াসির আরাফাত বলেন, এই বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি, একজন কর্মকর্তাকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সূত্র : যুগান্তর।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়