প্রকাশ : ২৪ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
শাহরাস্তিতে বন্যায় প্লাবিত নিম্নাঞ্চল
জলাবদ্ধতায় জনদুর্ভোগ ॥ মৎস্য ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত
টানা বর্ষণে শাহরাস্তি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। কয়েকটি এলাকা পানিতে ডুবে গেছে। অনেকেই পার্শ্ববর্তী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়েছেন। উপজেলা প্রশাসনসহ রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন বন্যা দুর্গতদের সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছে।
শাহরাস্তি উপজেলার দক্ষিণ অঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি অত্যন্ত নাজুক। বিশেষ করে সুচিপাড়া উত্তর ও দক্ষিণ ইউনিয়ন, চিতোষী পূর্ব ও পশ্চিম ইউনিয়নের অনেক গ্রামীণ সড়ক পানির নিচে তলিয়ে গিয়েছে। অনেকেই পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। গত বেশ কয়েক বছরের মধ্যে শাহরাস্তিতে এবারের বন্যা পরিস্থিতি অত্যন্ত নাজুক। উপজেলায় বিভিন্ন এলাকায় ফসলি জমি তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। এছাড়াও শাক সবজির ফলন নষ্ট হয়ে গেছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মৎস্য খামারিরা। লাখ লাখ টাকার মাছের খামার তলিয়ে যাওয়ায় বহু চেষ্টা করেও মাছ রক্ষা করতে পারেনি। ধরণা করা হচ্ছে, উপজেলায় কয়েক কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়েছে মৎস্য ব্যবসায়ীরা। এছাড়াও গ্রামীণ সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক এলাকা বিদ্যুৎহীন রয়েছে।
সুচিপাড়া ডিগ্রি কলেজে আশ্রয় নিয়েছে ১২টি পরিবার। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যার্তদের জন্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন বন্যা দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছে। এদিকে শাহরাস্তি পৌর এলাকায় ভয়াবহ জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে বহু লোকজন। অপরিকল্পিত মাটি ভরাট ও পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় এ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় কোনো বৃষ্টিপাত না হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে। তবে অনেকেই জানান, ফেনী ও কুমিল্লা অঞ্চলের পানি চাপ দেওয়ায় শাহরাস্তি উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা রয়েছে।
বন্যার মধ্যে সুতা ব্যবসায়ীদের ব্যস্ততা বেড়েছে। মাছের খামার রক্ষা করতে মৎস্য ব্যবসায়ীরা জাল কিনতে ভিড় জমাচ্ছেন তাদের কাছে। এছাড়াও মাছ শিকারিরা লাইন ধরে ছল (টেঁটা) ও লাইট ক্রয়ের হিড়িক সৃষ্টি করেছে।