হাইমচরে বিক্ষুব্ধ জনতার হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ ॥ আহত ১০

শেখ হাসিনার পদত্যাগের ঘোষণার পর হাইমচর উপজেলায় বিজয় মিছিল করেছে ছাত্র-জনতা ও বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। মিছিল শেষে বিক্ষুব্ধ জনতা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বাড়ি, উপজেলা পরিষদ ও হাইমচর উপজেলা আওয়ামী লীগের অফিসসহ বেশ ক'টি প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটায়।

গত ৫ আগস্ট সোমবার বিকেল ৩ টার পর শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের খবর শোনার পর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে সাধারণ জনতা ও বিভিন্ন দলের নেতা-কর্মীবৃন্দ সদর আলগী বাজারে জড়ো হয়। পরে উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ আমিন উল্লাহ বেপারী ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাজহারুল ইসলাম সফিক পাটওয়ারীর নেতৃত্বে একটি আনন্দ মিছিল বের হয়। মিছিলটি উপজেলা সদরস্থ আলগী বাজারের বিসমিল্লাহ মোড়ে শেষ হয়। সেখানে উপজেলার বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

বক্তব্য শেষে বিক্ষুব্ধ জনতা পতাকা হাতে নিয়ে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল, উপজেলার সভা কক্ষ, উপজেলা আওয়ামীলীগ অফিস, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূর হোসেন পাটওয়ারীর বাড়ি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এম এ বাসার, হুমায়ূন কবির পাটওয়ারী, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন বেপারী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জি এম জাহিদ, জেলা পরিষদ সদস্য মোঃ খুরশিদ আলম, যুবলীগ নেতা ইসমাইলা হোসেন আখন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম রনি, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা মামুন মিজি, শাহআলম মিজি, সবুজ খন্দকার, উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা মোঃ মহসিন পাটওয়ারী, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ বাচ্চু মিয়া খান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান গাজি, ছাত্রলীগ নেতা এমরান হোসেন তালুকদার, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা বারেক, নুরুল ইসলাম পাটওয়ারীর দোকান, হারুন হাওলাদারের দোকানসহ বিভিন্ন বাড়ি, প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগকালে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাথে বিক্ষুব্ধ জনতার ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় আহত হয়ে ১০ জন। এতে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে রেফার করে হাইমচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ।