প্রকাশ : ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
তিন সহস্রাধিক পথচারীকে ঠাণ্ডা শরবত খাওয়ালেন ইয়ুথ ফোরাম বাংলাদেশ ও ইয়ুথ রিদম ফাউন্ডেশন
গতকাল ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার থেকে চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন জায়গায় গরমে স্বস্তিদায়ক ঠাণ্ডা শরবত খাওয়ানো শুরু করেছে ইয়ুথ ফোরাম বাংলাদেশ ও ইয়ুথ রিদম ফাউন্ডেশন।
রিকশা ড্রাইভার ও সিএনজি অটোরিকশা ড্রাইভার থেকে শুরু করে সকল পথচারীকে গরমে কিছুটা স্বস্তি ও তৃষ্ণা মেটানোর জন্যে দুপুর ১২টায় বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অনানুষ্ঠানিকভাবে এই কার্যক্রম শুরু করা হয়। ট্রাফিক পুলিশ থেকে শুরু করে রিকশার ড্রাইভার ও প্যাসেঞ্জার, সিএনজি অটোরিকশা ড্রাইভার ও প্যাসেঞ্জারের পাশাপাশি আন্তঃজেলা বাসের যাত্রীদের এই শরবত খেতে দেখা যায়।
এই শরবত কতটুকু নিরাপদ এবং মানুষকে স্বস্তি দিচ্ছে এই নিয়ে কথা বলেন ইয়ুথ ফোরাম বাংলাদেশের কো-অর্ডিনেটর রোটারিয়ান অ্যাডভোকেট আলেয়া বেগম লাকি। তিনি বলেন, আবহাওয়াজনিত কারণে বাংলাদেশের সকল স্থানে দাবদাহ বিরাজ করছে। এতে প্রত্যহ রাস্তাঘাটে চলাচলকারী রিকশার ড্রাইভার, সিএনজি অটোরিকশা ড্রাইভারের পাশাপাশি পথচারীরা হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হচ্ছে। বিশেষ করে দুপুর ১২টা থেকে শুরু করে বিকেল ৩টা পর্যন্ত এই গরমের তীব্রতা বিরাজ করে। আমরা এই গরমে মানুষের শরীরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্যে প্রতিটি ব্যক্তির জন্যে আলাদা আলাদা ওয়ান টাইম গ্লাস দিয়ে শরবত বিতরণ করেছি। এছাড়া পানি, ট্যাং, লেবুর পাশাপাশি বরফটাও যেন নিরাপদ হয় সেদিকে বিশেষ নজর রেখেছি।
তিনি আরো বলেন, এই কার্যক্রমের কোনো আনুষ্ঠানিকতা হয় না, আমরা করবোও না। এই পরিস্থিতিতে সকলের এগিয়ে আসা উচিত। জানি না, কতদিন এই কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবো, তবে আমাদের পাশাপাশি সকল শ্রেণীর মানুষের এগিয়ে আসা উচিত।
এই কার্যক্রমে আরো উপস্থিত ছিলেন ইয়ুথ ফোরাম বাংলাদেশের সহ-সভাপতি রুমি আক্তার, সাধারণ সম্পাদক রাইছা রহমান চাঁদমনি, কোষাধ্যক্ষ খাদিজা আক্তার, ইয়ুথ রিদম ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আয়েশা বেগম মুন্নী, সভাপতি ওয়ালাইকুম ইসলাম সাঈফ, নির্বাহী সদস্য নাবিয় তাবাসসুম, ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক তানজিলা আক্তারসহ আরো অনেকে।