প্রকাশ : ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২২:৫১
বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে চাঁদপুরের ৭ উপজেলায় বৃত্তি পরীক্ষা সম্পন্ন
বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে চাঁদপুরের সাত উপজেলায় বৃত্তি পরীক্ষা-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৬ নভেম্বর শনিবার সকালে সারাদেশের ন্যায় চাঁদপুর জেলার ৭ উপজেলার ১০টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে এবং সুষ্ঠুভাবে বৃত্তি পরীক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জেলার প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রে শিক্ষা কর্মকর্তা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান এবং কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ পরিদর্শন ও তদারকি করেন।
বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশন চাঁদপুর জেলা শাখা সূত্রে জানা যায়, এ বছর চাঁদপুর জেলার তিনশ'র বেশি কিন্ডারগার্টেনের নার্সারি থেকে ৫ম শ্রেণির ৭ হাজারের অধিক ছাত্র-ছাত্রী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে চাঁদপুর সদর উপজেলায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৬শ' ৪০জন। সদর উপজেলার ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজের ১নং কেন্দ্রে ৫৬০ জন এবং আক্কাস আলী রেলওয়ে উচ্চ বিদ্যালয়ের ২নং কেন্দ্রে ১০৮০ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।
এছাড়া হাজীগঞ্জ উপজেলায় ২টি কেন্দ্রে ১৬৯০, শাহরাস্তি উপজেলার ১টি কেন্দ্রে ৬৫০, ফরিদগঞ্জ উপজেলার ২টি কেন্দ্রে ১৩৫০, মতলব উপজেলার ২টি কেন্দ্রে ১২০০ এবং হাইমচর উপজেলার ১টি কেন্দ্রে ৫৭৫ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। কচুয়া কেন্দ্রের পরীক্ষা আগামী ৩০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।
বৃত্তি পরীক্ষায় জেলা টিম চাঁদপুরের বিভিন্ন উপজেলার কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন টিমে ছিলেন বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশন চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ওমর ফারুক, সাধারণ সম্পাদক ও প্রধান নির্বাহী সবুজ ভদ্র, জেলা সহ-সভাপতি ও সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ফারুক আহমেদ বাদল ও কেন্দ্রীয় পরিদর্শক মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম।
বেলা ১১টায় চাঁদপুর সদর উপজেলার ড্যাফোডিল স্কুল এন্ড কলেজ এবং আক্কাস আলী রেলওয়ে উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন চাঁদপুর সদর উপজেলার সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মানসুর আহমেদ, ড্যাফোডিল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ নূর খান ও আক্কাস আলী রেলওয়ে উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোফরান হোসেন।
উপজেলাগুলোতে পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশন চাঁদপুর সদর উপজেলা শাখার সভাপতি লায়ন মো. গোলাম হোসেন টিটু, সহ-সভাপতি মাহমুদা খানম, সাধারণ সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, কোষাধ্যক্ষ মো. কাউসার পাটোয়ারী, কেন্দ্র ১-এর হল সচিব কবিতা সাহা, হল সুপার আবুল কালাম আজাদসহ সকল সমন্বয়কারী।
হাজীগঞ্জ উপজেলায় ১নং কেন্দ্রে নির্বাহীর দায়িত্ব পালন করেন অধ্যক্ষ শাহ্ মুহাম্মদ জাকিরুল্লাহ, কেন্দ্র সচিব টুটুল ভদ্র, হল সুপার এনায়েত মজুমদার, সহকারী হল সুপার মোহাম্মদ বজলুল ইসলাম ও মোহাম্মদ ইব্রাহিম মির্জা। হাজীগঞ্জ ২নং কেন্দ্রে নির্বাহী ছিলেন মোহাম্মদ আক্তার হোসেন মজুমদার, কেন্দ্র সচিব মোঃ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, কেন্দ্র সুপার মো. আবুল ফারাহ্ মজুমদার, সহকারী হল সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ও শম্ভু সাহা।
শাহরাস্তি উপজেলার হল সচিব ছিলেন মো. আলী, আজগর মিয়াজী, হল সুপার সফিউল আলম স্বপন, সহকারী হল সুপার আবু তাহের সুমন। ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১নং কেন্দ্রে নির্বাহীর দায়িত্বে ছিলেন স্বজন দাস গুপ্ত, কেন্দ্র সচিব মাও. জাকির হোসেন, হল সুপার নূর নবী বিএসসি, সহকারী হল সুপার মো. ইব্রাহীম এবং কেন্দ্র-২-এর নির্বাহী প্রভাষক শাহমুব জুয়েল, কেন্দ্র সচিব মোহাম্মদ রেজাউল করিম মাসুদ, হল সুপার ইয়ামিন আক্তার লাকী, সহকারী হল সুপার মো. ফারুক হোসেন। হাইমচর উপজেলায় কেন্দ্র নির্বাহী ছিলেন মৃদুল কান্তি দাস, কেন্দ্র সচিব মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ও হল সুপার মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান। মতলব দক্ষিণের ১নং কেন্দ্র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন শাহজাহান সাগর এবং ২নং কেন্দ্র সচিব ছিলেন ফজলে রাব্বি ইয়ামিন, জেলা প্রতিনিধির দায়িত্বে ছিলেন রাজিব কুমার ঘোষ।