প্রকাশ : ২৮ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
কাঁচিকাটায় দুই গ্রুপের সহিংসতায় বাড়ি-ঘর লুট, আহত অর্ধশতাধিক
মেঘনা নদীর পশ্চিম তীরবর্তী কাঁচিকাটা ইউপি নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় বসতঘর ভাংচুর, লুটপাট এবং অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছে। ২৭ মার্চ বুধবার সকালে চাঁদপুরের পার্শ্ববর্তী শরিয়তপুর জেলার ৯নং কাঁচিকাটা ইউনিয়নের দক্ষিণ মাথাভাঙা নজির খাঁর বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
কাঁচিকাটা ইউপি নির্বাচনে পরাজিত তিন চেয়ারম্যান প্রার্থীর লোকেদের পরিকল্পিত সশস্ত্র হামলায় এই ঘটনা ঘটেছে বলে বিজয়ী চেয়ারম্যান মোঃ নূরুল আমিন দেওয়ান দাবি করেন।
এ ঘটনায় গুরুতর আহতরা হলেন : ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য আল-আমিন দেওয়ান (৩০), জয় গাজী, যুবলীগ নেতা সোনা মিয়া দেওয়ান (৫০), বিল্লাল দেওয়ান (৩৫), নজির খান (৫০), সোলেমান দেওয়ান (৪০), জাহান উল্লাহ (৪০), ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি লিটু দেওয়ানসহ আরো অনেকে। আহতদের মধ্যে সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা আল-আমিন দেওয়ান (৩০) এবং জয় গাজীর অবস্থা অশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের ঢাকায় রেফার করা হয়েছে।
জাহান উল্লাসহ আহতদের অনেকে জানান, আমরা সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। ভোটে জয়-পরাজয় থাকবেই। আজ সকালে রিপন বেপারী এবং তার ভাইয়েরাসহ ৪-৫শ’ লোক আমাদের বাড়িঘর এবং মানুষদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলাকারীদের হাতে ধারালো রামদা, চাপাতি, টেঁটাসহ দেশি-বিদেশি অস্ত্র ছিলো। আমরা কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই তারা আমাদের উপর অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করে।
এ বিষয়ে কাঁচিকাটা ইউপির নির্বাচিত চেয়ারম্যান মোঃ নূরুল আমিন দেওয়ান বলেন, গত ৯ মার্চ আমাদের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ প্রশাসনের লোক দায়িত্বে ছিলেন। ফলে সুষ্ঠু ভোটের মাধ্যমে আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই। ভোটে পরাজিত প্রতিদ্বন্দ্বী ৩ চেয়ারম্যান প্রার্থী কামরুল হাওলাদার, ফজলুল হক কাউসার মোল্লা ও আব্দুল হাই খান আজকে পরিকল্পিতভাবে আমার আত্মীয়-স্বজনদের ওপর সশস্ত্র হামলা করেছে।
ইউপি চেয়ারম্যান আরো বলেন, পরাজিত ৩ চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্দেশে স্থানীয় কাকন হাওলাদার, রিপন বেপারী, আলম মোল্লা, আলতাফ মোল্লা, বোরচরের সিদ্দিক এবং আহমদ আলী মৃধার নেতৃত্বে অজ্ঞাত প্রায় ৪-৫ শতাধিক লোক সশস্ত্র হামলা করে। তারা ককটেল ফাটিয়ে পিস্তল, রামদা, টেঁটাসহ দেশী-বিদেশী সব অস্ত্র নিয়ে আমার আত্মীয়-স্বজন এবং সমর্থকদের বাড়িঘরে লুটপাট করে। তাদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আমাদের প্রায় ৫০ জন লোক আহত হয়েছে। তিনি প্রশাসনের কাছে এই ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার এবং অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি দাবি করেন।