সোমবার, ২০ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ২১ মার্চ ২০২৪, ০০:০০

সাবেক এমপি হারুন অর রশিদ খানের আত্মার মাগফেরাত কামনায় মিলাদ ও দোয়া

স্টাফ রিপোর্টার ॥
সাবেক এমপি হারুন অর রশিদ খানের আত্মার মাগফেরাত কামনায় মিলাদ ও দোয়া

চাঁদপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম আলহাজ্ব হারুন অর রশিদ খানের আত্মার মাগফেরাত কামনায় প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও ২০ মার্চ বুধবার চাঁদপুর, নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকায় বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসায় মিলাদ, দোয়া ও ইফতারের আয়োজন করা হয়েছে। তাঁর সুযোগ্য সন্তানরা এসব আয়োজন করেন। চাঁদপুর সদরের প্রয়াত এই কৃতী সন্তান ২০০৩ সালের ৫ নভেম্বর ৯ রমজান ঢাকার ইন্দিরা রোডস্থ নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন। এরপর থেকে মরহুমের পরিবার প্রতিবছর ৯ রমজানে মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনায় মিলাদ দোয়া ও ইফতারের আয়োজন করে এবং প্রতি বছরের ৫ নভেম্বর মৃত্যুবার্ষিকী পালন করে আসছে তার পরিবার।

মরহুম আলহাজ্ব হারুনুর রশিদ খান ১৯৩৪ সালের ১ নভেম্বর চাঁদপুর সদর উপজেলার তৎকালীন আশিকাটি ইউনিয়নের সফরমালী গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আলহাজ্ব সেকান্তর খান।

প্রতি বছর ৫ নভেম্বর তার পরিবারের পক্ষ থেকে তার মৃত্যুবার্ষিকী ও ৯ রমজান আত্মার মাগফেরাত কামনায় মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠান পালিত হয়ে আসছে। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ চাঁদপুরের কৃতী সন্তান মরহুম আলহাজ্ব মিজানুর রহমান চৌধুরীর অনুপ্রেরণায় রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রবেশ করেন। চাঁদপুর-৩ আসনের দু-দুবার নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ হারুন-অর-রশিদ খান চাঁদপুরের একজন বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক এবং দানবীর হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিনি চাঁদপুর ও মতলব উপজেলায় বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানা, স্কুল-কলেজে শিক্ষা বিস্তারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। মরহুম হারুন অর রশিদ খান সফরমালী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও চেয়ারম্যান পদে জীবনের শেষদিন পর্যন্ত অধিষ্ঠিত থেকে এলাকার শিক্ষা বিস্তারে ও উন্নয়নে কাজ করে গেছেন।

উল্লেখ্য, মরহুম আলহাজ্ব হারুন অর রশিদ খান চাঁদপুর রেলওয়ে হকার্স মার্কেট প্রতিষ্ঠাকালীন সময় অন্যতম উদ্যোক্তা ও উপদেষ্টা ছিলেন। ১৯৬০ সালে সফরমালী উচ্চ বিদ্যালয় মেঘনার করাল গ্রাসে পতিত হলে তাঁর বাবা মরহুম আলহাজ্ব সেকান্তর খানের নির্দেশে প্রতিষ্ঠানটি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে তিনি দায়িত্ব পালন করেন। তাছাড়া তিনি সফরমালী বাজারের প্রতিষ্ঠাতা। বাজারের আয়ের অংশ দুঃস্থ মানবতার সেবা এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে উৎসর্গ করেছেন, যা এখন পর্যন্ত চলমান রয়েছে। অদ্যাবধি শতাধিক মসজিদ মাদ্রাসা উক্ত আয়ে পরিচালিত হয়ে আসছে এবং চাঁদপুর জেলার বাজারকেন্দ্রিক শত শত পরিবারের কর্মসংস্থানের মাধ্যমে জীবন-জীবিকা পরিচালনা করে আসছে।

হারুন অর রশিদ খান মুন্সিরহাট দারুল উলুম মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, মুন্সিরহাট কলেজের আজীবন সদস্য, মতলব বোয়ালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। ছোটবেলা থেকেই তার ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রতি মনোযোগ ছিল এবং প্রথমেই নারায়ণগঞ্জে তিনি তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। ১৯৮৮ সালে তিনি সর্বপ্রথম মতলবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের মেধা বিকাশে জরিনা বৃত্তি প্রদান প্রকল্প চালু করেন। প্রাথমিক শিক্ষা বিস্তারেও তার এই ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। তিনি ছাত্রজীবনে ছাত্র রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি চাঁদপুর গণি স্কুল থেকে মেট্রিক পাস করেন। ১৯৫২ সালে চাঁদপুর মহকুমা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। ভাষা আন্দোলনেও তাঁর সক্রিয় ভূমিকা ছিল। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা সংগ্রামে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। যুদ্ধ চলাকালীন সময় এলাকার যুবসমাজকে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করার জন্যে উৎসাহ প্রদান করেন এবং মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ গ্রহণে সকল প্রকার সহযোগিতা প্রদান করেন। প্রশিক্ষণ নিতে তিনি ভারত চলে যান এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সার্বিক সহযোগিতা করেন।

১৯৮২-৮৮ পর্যন্ত বাংলাদেশ লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি ও ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ ঢাকার সদস্য, ১৯৭০-৮৬ সাল পর্যন্ত হাজী মহসিন জনকল্যাণ সমিতির সভাপতি, ১৯৭৮-৮৮ ঢাকাস্থ চাঁদপুর জেলা সমিতির সহ-সভাপতি ও উপদেষ্টা ছিলেন। হারুন-অর-রশিদ খান পরবর্তীতে নারায়ণগঞ্জে তার ব্যবসা পরিচালনা করে ধীরে ধীরে জাতীয় পার্টির ব্যানারে রাজনীতিতে আসেন।

১৯৮৬-৮৮ জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। চাঁদপুরে জাতীয় পার্টির বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পদে অধিষ্ঠিত হয়ে সকল স্তরের নেতা-কর্মীদের ও সাধারণ মানুষের অত্যন্ত আস্থাভাজন ব্যক্তি হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়