প্রকাশ : ২৪ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০
কচুয়া উপজেলার গোহট দক্ষিণ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের দরিগোবিন্দপুর গ্রামে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও কাজ করায় আলী আশ্রাফ গং ও আবুল খায়ের গংয়ের মধ্যে ঝগড়া-ভাংচুর ও মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। দুপক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে সম্পত্তিগত বিরোধে মামলা-মোকদ্দমা চলে আসছে।
সরজমিনে গেলে জানা যায়, সম্পত্তির বিরোধ থাকায় আলী আশ্রাফ গং ফৌঃকাঃবিঃ আইনের ১৪৫ ধারা মতে আদালতে দরখাস্ত মামলা করেন। যার নং-১২১২/২০২৩ তারিখ : ১২/১০/২০২৩। একই কার্যবিধি আইনে আবুলে খায়ের গং চাঁদপুর বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দরখাস্ত মামলা করেন। যার নং- ৬৮০/২০২৩, তারিখ : ০৫/০৬/২০২৩।
এমতাবস্থায় ২২ অক্টোবর সকাল ৯টার দিকে আলী আশ্রাফ গং বসত ভিটার বিল্ডিংয়ের পিলারের কাজ করতে গেলে খায়ের গং বাধা দিলে তাদের উভয় পক্ষের মধ্যে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। এ সময় আলী আশ্রাফ গং ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে কচুয়া থানার এসআই আনিসুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সরজমিনে এসে তাদের উভয় পক্ষের মধ্যে ঝগড়ার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
নিষেধাজ্ঞার সম্পত্তির উপর কাজ করার কথা জানতে চাইলে আলী আশ্রাফ গং জানান, আমরা আমাদের সম্পত্তিতে কাজ করছি, আদালতের নিষেধাজ্ঞার সম্পত্তিতে কাজ করছি না। আবুল খায়ের গং দলবল নিয়ে এসে আমাদের কাজে বাধা দিয়ে আমাদেরকে মারধরসহ সিসি ক্যামরা ও ঘরের দরজা ভাংচুর করে।
আবুল খায়ের গং জানান, আলী আশ্রাফ গং এলাকার চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ কারো কোনো দেন-দরবার মানে না। তারা দীর্ঘদিন থেকে স্থানীয় মেম্বারকে জড়িয়ে ৩টি মামলা করে আমাদেরকে হয়রানি করে আসছে। আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও আলী আশ্রাফ গং রোববার কাজ করতে গেলে আমরা বাধা দেই। এতে আলী আশ্রাফ গং আমাদের সাথে ঝগড়ার সৃষ্টি করে। এ সময় পুলিশ আসলে ঝগড়া নিয়ন্ত্রণ হয়। আমরা তাদেরকে মারধর করিনি এবং সিসি ক্যামেরাসহ ঘর দরজা ভাংচুর করিনি।
উভয় পক্ষ ন্যায় বিচারের দাবি জানিয়েছে।
