‘শেখ রাসেল দীপ্তিময় নির্ভীক নির্মল দুর্জয়’ প্রতিপাদ্যকে উপজীব্য করে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে তৃতীয় শেখ রাসেল দিবস এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট ভাই শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিন উদযাপন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে আলোচনা সভার আয়োজন ও বৃক্ষরোপণ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর আমিনুল ইসলাম মিলনায়তনে একাডেমিক অ্যাফেয়ার্সের ডীন অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ফ্যাকাল্টি অব অ্যালাইড হেলথ সায়েন্স-এর ডীন (ইনচার্জ) অধ্যাপক ড. মোঃ বেল্লাল হোসেন।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন ড. লিজা শারমিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মোহাম্মদ নাদির বিন আলী, কৃষি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. এম এ রহিম, পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান ড. এ.বি.এম. কামাল পাশা প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি ড্যাফোডিল ইন্সটিটিউট অব সোস্যাল সায়েন্স এবং ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি স্কুল এন্ড কলেজের শতাধিক শিশু-কিশোর অংশগ্রহণ করে। পরে অতিথিরা বিশ্ববিদ্যালয়েরর বোটানিক্যাল গার্ডেনে বিভিন্ন জাতের চারা রোপণ করেন।

সভাপতির বক্তব্যে একাডেমিক অ্যাফেয়ার্সের ডীন প্রফেসর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, শেখ রাসেল ১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর ঢাকার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবনে জন্মগ্রহণ করেন এবং "রাসেল" নামটি বঙ্গবন্ধু নিজেই দিয়েছিলেন তার প্রিয় লেখক, প্রখ্যাত দার্শনিক এবং নোবেল পুরস্কার বিজয়ী বার্ট্রান্ড রাসেলের নামে।

তিনি বলেন, ছোটবেলা থেকেই খুব সক্রিয় এবং খেলাপাগল রাসেল ছিলেন পরিবারের আলো, কিন্তু জীবন খেলায় ব্যস্ত থাকেননি। তিনি আরো বলেন, মাত্র দেড় বছর বয়স থেকেই তাকে জীবনের কঠোর নিষ্ঠুরতার মুখোমুখি হতে হয়েছিল, যখন তাকে কেবল তার প্রিয় বাবার সাথে দেখা করতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার এবং ঢাকা সেনানিবাস যেতে হয়েছিল।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শেখ রাসেলকে তার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। সে সময় তিনি ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।