প্রকাশ : ১৯ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০
চাঁদপুর সরকারি কলেজ ১৮ অক্টোবর (বুধবার) হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কলিজার টুকরা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার অতি আদরের ছোট ভাই শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিন ও শেখ রাসেল দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৯টায় কলেজ থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সমন্বয়ে চাঁদপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার প্রধান ফটকের সম্মুখভাগে স্থাপিত শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
‘শেখ রাসেল দীপ্তিময়, নির্ভীক নির্মল দুর্জয়’ প্রতিপাদ্যে বেলা ১১টায় কলেজ সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আলমগীর হোসেনের সভাপ্রধানে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন অধ্যক্ষ প্রফেসর অসিত বরণ দাশ। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপাধ্যক্ষ প্রফেসর শেখ মোঃ খলিলুর রহমান এবং শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মেহেদী হাসান।
বাংলা বিভাগের প্রভাষক ফাতেমা আক্তারের উপস্থাপনায় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও শেখ রাসেলসহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের সকলের জন্য দোয়া করেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ আল-আমিন। পবিত্র গীতা থেকে পাঠ করেন পদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক গোপাল কৃষ্ণ ভৌমিক।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল হাছান, শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক মেহেদী হাসান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর সামছুর রহমান, উপাধ্যক্ষ প্রফেসর শেখ মোঃ খলিলুর রহমান। বক্তাগণ শিশু রাসেলের জীবনের উল্লেখযোগ্য অংশ নিয়ে আলোচনা করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর অসিত বরণ দাশ বলেন, আজ আমাদের জন্যে অত্যন্ত আনন্দের দিন, বঙ্গবন্ধুর প্রিয় পুত্র, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অতি আদরের ছোট ভাই, নির্মলতার প্রতীক, দুরন্ত প্রাণবন্ত নির্ভীক শেখ রাসেলের ৬০তম শুভ জন্মদিন। বঙ্গবন্ধু উনার প্রিয় লেখক, খ্যাতিমান দার্শনিক ও নোবেল বিজয়ী ব্যক্তিত্ব বার্ট্রান্ড রাসেলের নামানুসারে প্রিয় পুত্রের নাম রাখেন শেখ রাসেল। শৈশব থেকেই দুরন্ত, সদা হাসিখুশি, প্রাণবন্ত রাসেল ছিলেন সকলের অতি আদরের। মাত্র ৭ বছর বয়সে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালে পরিবারের সকলের সাথে গৃহবন্দি হন তিনি। বঙ্গবন্ধুর আদরের দুলাল মাত্র ১০ বছর ৯ মাস ২৭ দিন বেঁচে ছিলেন। ঘাতক নরপিশাচরা বাঁচতে দিলো না শিশু রাসেলকে। আমরা রাসেল হত্যার বিচার চাই। ঘাতক নরপিশাচদের হাত থেকে বাংলাদেশকে নিরাপদ রাখতে চাই। আগামী দিনের শিশুরা উজ্জ্বল, আনন্দময়, সুস্বাস্থ্য, সুশিক্ষা ও পরমায়ু নিয়ে নিরাপদে বেড়ে উঠুক, শেখ রাসেল দিবসে এই আমাদের প্রত্যাশা।
বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও শিক্ষকবৃন্দ শেখ রাসেল দিবসের সকল কর্মসূচিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।