প্রকাশ : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০
চাঁদপুর শহরের কুমিল্লা রোডস্থ ঘোষপাড়া ব্রীজ সংলগ্ন স্বর্ণ ভূবনে স্বর্ণ চুরির ঘটনার ৫ দিন অতিবাহিত হলেও এখনো পুলিশ কোনো ক্লু বের করতে পারেনি।
গত ৪ সেপ্টেম্বর ভোর ৬টা থেকে সাড়ে ৬টার মধ্যে স্বর্ণ ভূবনের ভবনের মূল গেইটের তালা এবং স্বর্ণ ভূবনের সার্টারের তালা কেটে ৫০ ভরির বেশি স্বর্ণ চুরি করে নিয়ে যায় চোর চক্র। যার আনুমানিক মূল্য অর্ধ কোটি টাকারও বেশি।
ঘটনার পরপরই পুরো শহরে এ ঘটনা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। ঘটনার খবর পেয়ে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সহ সরকারের সকল গোয়েন্দা সংস্থা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং ঘটনার ক্লু উদ্ঘাটনে মরিয়া হয়ে মাঠে নেমে পড়ে। কিন্তু ঘটনার ৫ দিন অতিবাহিত হলেও এখনো পুলিশ কোনো ক্লু বের করতে না পারায় জনমনে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ। ঘটনার পর ওইদিন রাতেই স্বর্ণ ভূবনের মালিক মানিক কর্মকার নিজে বাদী হয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। যার নং-২০, তাং ৪/৯/২০২৩ খ্রিঃ।
এদিকে মামলার ঘটনার তদন্তের জন্যে দায়িত্ব দেয়া হয় মডেল থানা পুলিশের এসআই রাকিবকে। তিনি মামলার দায়িত্ব পাওয়ার পর পরই ঘটনার ক্লু উদ্ঘাটনে মরিয়া হয়ে মাঠে নামেন। সন্দেহভাজন হিসেবে একাধিক চুরির মামলার আসামী তরপুরচণ্ডী এলাকার কসাই আলম ওরফে আলম বেপারী (৪৫) (পিতা সামছুল বেপারী)কে এবং বাবুরহাট এলাকার বাসিন্দা একাধিক মাদক ও চুরির মামলার আসামী মাসুদুর রহমান লিটন (৩৫)কে আটক করেন। আটককৃত দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এ মামলায় নামীয় আসামী করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
অপরদিকে এ চুরির ঘটনায় ক্লু উদ্ঘাটনে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রাকিবের সাথে মডেল থানার এসআই শাহরিন ও এএসআই তসলিমকে তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক দক্ষ হিসেবে কাজ করার জন্যে নির্দেশ দেয়া হয়।
এদিকে তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পর পরই এই তিন কর্মকর্তা ক্লু উদ্ঘাটনে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে দিন-রাত কাজ করছেন। ইতিমধ্যে এই তিন কর্মকর্তা মতলব ও হাজীগঞ্জ উপজেলার কয়েকটি স্থানসহ নারায়ণগঞ্জ ও রাজধানীতেও অভিযান অব্যাহত রেখেছেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রাকিবের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, চুরির ঘটনায় ক্লু উদ্ঘাটনে বা চোর চক্রকে আটকের জন্যে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে আমরা জেলার বাইরে রয়েছি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সন্দেহভাজন হিসেবে যাদের আটক করা হয়েছে, তাদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে মামলায় নামীয় আসামী করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি আরেক প্রশ্নের জবাবে বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে মনে হচ্ছে এদের কাছে কিছু তথ্য পাওয়া যেতে পারে। এজন্যে আদালতে আসামীদেরকে ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।
চুরির ঘটনায় বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শেখ মুহসীন আলমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, চুরির বিষয়ে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ইতিমধ্যে সন্দেহভাজন হিসেবে ৪০টি মতো চুরির মামলার আসামী আলমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার কাছে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমাদের কার্যক্রম বা অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আশা করছি শীঘ্রই রহস্য উন্মোচন হবে।