শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  |   ১৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ১৩ জুন ২০২৩, ০০:০০

ফরিদগঞ্জে ব্যবসায়ীর উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি ॥

ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের আনন্দ বাজারের ক্যাবল নেটওয়ার্কের ব্যবসায়ী মোঃ হিরন হাজীর উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বাজার ব্যবসায়ী ও এলাকার সাধারণ মানুষ। ১২ জুন সোমবার বিকেলে বাজার ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আনন্দ বাজার ব্যবসায়ী মোঃ হিরন হাজীকে হত্যার উদ্দেশ্য হামলা করেছে পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ এমরান হোসেন।

তারা আরো বলেন, হিরন হাজী ও এমরান মেম্বার একই এলাকায় ক্যাবল নেটওয়ার্কের ব্যবসা করে আসছে। গত ১০ জুন রাত ১১টার দিকে হিরন হাজী ইন্টারনেটের সংযোগ দেয়ার জন্য পশ্চিম সাহাপুর নওশা গাজী বাড়িতে যায়। সেখানে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এমরান মেম্বার ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা সংযোগ দিতে বাধা প্রদান করে, বাধা উপেক্ষা করে সংযোগ প্রদানের একপর্যায়ে এমরান মেম্বার ও সাঙ্গ-পাঙ্গরা দেশী অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে হিরনের মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। এতে হিরন হাজীর মাথা পেটে যায় এবং প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। গুরুতর আহতাবস্থায় এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়। বর্তমানে সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। মানববন্ধনে বাজার ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীরা এমরান মেম্বার ও তার সহযোগীদের বিচার দাবি করেন।

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য এমরান হোসেন জানান, ১০ জুন রাত ১১টার দিকে অজ্ঞাত নাম্বার থেকে ফোন আসে আমার ইন্টারনেট সংযোগ কেটে ফেলা হচ্ছে। তাৎক্ষণিক আমি আমার ভাইসহ ঘটনাস্থলে যাই। গিয়ে দেখি হিরন তার সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে আমার সংযোগ কেটে নতুন করে সংযোগ দিচ্ছে, আমি তাকে বাধা প্রদান করি। এক পর্যায়ে হিরন আমাকে কিল ঘুষি মারতে থাকে। আমার ভাই তাতে বাধা দিলে তাকেও মারধর করে। পরে আমি স্থানীয়দের সহযোগিতায় ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি এবং সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ডাক্তার আমাকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে রেফার করে। আর আমার ভাইকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার সহকারি উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) আমজাদ হোসেন বলেন, জরুরি সেবা (৯৯৯) কল পেয়ে মারামারির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। উভয় পক্ষকে থানায় অথবা আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার জন্য বলেছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়