১৭ রমজান ঐতিহাসিক বদর দিবস উপলক্ষে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের আদর্শবাহী সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট চাঁদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার বিকেল ৫টায় চাঁদপুর প্রেসকাব ভবনস্থ এলিট চাইনিজ এন্ড রেস্টুরেন্টে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংগঠনের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য পীরে তরীকত আল্লামা আবু সুফিয়ান খান আল কাদেরী। উদ্বোধক ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ আবু জাফর মোঃ মাঈনুদ্দিন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র অ্যাডঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডঃ মজিবুর রহমান ভূঁইয়া, সংগঠনের চাঁদপুর জেলা উপদেষ্টা অধ্যক্ষ আ. ন. ম. মুহিব্বুল্লাহ ও অ্যাডঃ সেলিম আকবর।

বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ মুফতি রফিকুল ইসলাম আল-কাদেরীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মোঃ হুমায়ুন কবিরের পরিচালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট চাঁদপুর জেলা শাখার সহ-সভাপতি পীরজাদা মুফতী নূর মোঃ আরেফিন। আল্লামা শফিউল আজম, সদর উপজেলা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের সহ-সভাপতি পীরজাদা আল্লামা মোঃ মাহফুজ উল্যাহ খান ইউসুফী, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি মোঃ নূর আলম ফরাজীসহ বাংলাদেশ ইসলামী যুবসেনা ও ছাত্রসেনা চাঁদপুর জেলা শাখার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

আলোচনা সভায় বক্তাগণ বলেন, মদিনায় ইসলামের সমৃদ্ধি ও গণজাগরণে ভীত হয়ে কাফিররা প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের পবিত্র মাসে এ যুদ্ধে লিপ্ত হয়। মহান বদর যুদ্ধের ঐতিহাসিক তাৎপর্য ও গুরুত্ব তুলে ধরে তারা বলেন, এ দিবসকে ইয়াওমুল ফোরকান তথা হক ও বাতিলের পার্থক্য করার দিন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। সেদিন ঈমানী চেতনায় স্বল্পসংখ্যক মুহাজিদ বাহিনী বিপুল সংখ্যক প্রশিক্ষিত কাফির সৈন্যবাহিনীকে পরাস্থ করে ইসলামের পতাকাকে উড্ডীন করেছেন। প্রিয় নবীর সাহাবাগণের মধ্যে যে নবীপ্রেম ছিলো সে প্রেম আমাদের মধ্যে জাগ্রত হলেই আমরা আবার সেই গৌরব ফিরে পাবো।

বক্তারা বলেন, ফিলিস্তিনে কিশোরের লাশকে ক্ষতবিক্ষত করে জ্বালিয়ে ভস্মীভূত করে উল্লাস করা হচ্ছে। বোমা মেরে ঘরবাড়ি ছাড়া করছে ফিলিস্তিনী মুসলিম জনগোষ্ঠীকে। শতাব্দীকালের এ বিষফোঁড়া ইসরাইল আর কতোদিন মুসলমান অসহায় নারী ও শিশুর রক্ত ঝরাবে?

বাংলাদেশ ইসলামী যুবসেনা ও ছাত্রসেনা চাঁদপুর জেলা শাখার সার্বিক ব্যবস্থাপনায় আরো বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, ওলামায়ে কেরাম ও সুধীজন উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা শেষে মিলাদ, কিয়াম ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে নাতে রাসুল পরিবেশন করেন মোঃ জহিরুল ইসলাম ও কুরআন তেলাওয়াত করেন হাফেজ মোঃ শাহাদাত হোসেন জাহিদ।