হাইমচর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাজহারুল ইসলাম শফিককে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার করার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, গত ৩ এপ্রিল বিকেলে ছাত্রলীগ নেতা খাদেমুল ইসলাম শিশুর দায়ের করা মিথ্যা মামলায় মাজহারুল ইসলাম শফিককে আটক করে হাইমচর থানা পুলিশ। ৫ এপ্রিল বুধবার চাঁদপুর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট জামিন আবেদন না-মঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।

তিনি বলেন, পুলিশ মাজহারুল ইসলাম শফিককে গ্রেফতার করে মানুষের বাকস্বাধীনতার ওপর চরম চপেটাঘাত করেছে। সরকার বিরোধী কণ্ঠস্বরকে নিস্তব্ধ করার জন্যই একের পর এক কালো আইন প্রণয়ন এবং সাংবাদিকসহ বিএনপি ও বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দিয়ে গ্রেফতারের মাধ্যমে সরকার প্রমাণ করেছে যে, তারা গণতন্ত্রকে চিরদিনের জন্য মাটিচাপা দিতে চায়। পরিশেষে হাইমচর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাজহারুল ইসলাম শফিকের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারসহ নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহ্বান জানান তিনি।

জানা যায়, গত ২৭ মার্চ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের আইডি থেকে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে মন্তব্য করে পোস্ট করেন মাজহারুল ইসলাম শফিক। পরে বিষয়টি বুঝতে পেরে ৩০ মার্চ তিনি নিজের আইডি থেকে পোস্টটি ডিলিট করে দেন। সে পোস্টের স্ক্রিনশট রেখে খাদেমুল ইসলাম শিশু বাদী হয়ে হাইমচর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এদিকে হাইমচর উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দের অভিযোগ, সাংবাদিক নামধারী নব্য আওয়ামী লীগার কতিপয় লোকের প্ররোচনায় ব্যক্তি আক্রোশ ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় হাইমচরের পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক নেতা এবং সাংবাদিক মাজহারুল ইসলাম সফিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করিয়ে তাকে দমন-পীড়ন ও নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। ষড়যন্ত্রকারীরা মিথ্যা অপপ্রচারও চালাচ্ছে বলে দাবি তাদের।