প্রকাশ : ০৫ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০
![কচুয়ায় এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ](/assets/news_photos/2023/04/05/image-31529.jpg)
কচুয়া উপজেলার কড়ইয়া ইউনিয়নের ১৪৩নং মধ্য সাদিপুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জামাল হোসেনের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য ও সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল মিয়া প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ, অদক্ষতা, বিদ্যালয় পরিচালনায় ব্যর্থতা ও বিদ্যালয়ের পরিচালনা সভাপতির স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করার বিষয়ে চাঁদপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণের জন্যে যার অনুলিপি উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার বরাবর প্রেরণ করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ৩ এপ্রিল সোমবার দুপুরে মধ্য সাদিপুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার সুভাস চন্দ্র সেন বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সদস্য, জনপ্রতিনিধি, অভিভাবক ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে সরেজমিনে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে তদন্ত করেন।
তদন্তকালে অভিভাবক ও বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা জানান, জামাল হোসেনের মতো অদক্ষ, অযোগ্য লোক প্রধান শিক্ষক পদের জন্যে নয়। জরুরি ভিত্তিতে প্রধান শিক্ষক জামাল হোসেনকে বদলি করে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য জামাল হোসেন ও খোরশেদ আলম জানান, প্রধান শিক্ষক জামাল হোসেন বিদ্যালয়ের সরকারি বরাদ্দকৃত অর্থ ও উন্নয়নমূলক কাজের অর্থ সভাপতির স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। তাছাড়া গত দুই বছর পরিচালনা পর্ষদের কোনো সভা না করেই প্রধান শিক্ষক তার একক সিদ্ধান্তেই বিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল মিয়া জানান, বর্তমান সভাপতির পূর্বে আমি দায়িত্বে থাকাকালীন নগদ ৭৫ হাজার টাকা ও ডিজিটাল হাজিরার জন্য ৩০ হাজার টাকা বিদ্যালয়ের নামে ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে জমা রেখে যাই। প্রধান শিক্ষক জামাল হোসেন কাউকে না জানিয়ে সভাপতির স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ওই টাকা আত্মসাৎ করেন।
প্রধান শিক্ষক মোঃ জামাল হোসেন জানান, আমি বিদ্যালয়ের কোনো টাকা আত্মসাৎ করিনি। সরকারি সকল অনুদান বিদ্যালয়ের উন্নয়নমূলক কাজে ব্যয় করেছি। উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার সুভাস চন্দ্র জানান, অভিযোগ পেয়ে গত সোমবার বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য, জনপ্রতিনিধি, অভিভাবক ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে প্রাথমিক তদন্ত কার্যক্রম করি ও বর্তমানে অভিযোগের তদন্ত কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার এএইচএম শাহরিয়া রসূল জানান, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের তদন্ত প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।