প্রকাশ : ০২ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০
![১০০ টাকায় তরমুজ](/assets/news_photos/2023/04/02/image-31409.jpg)
যেইডা নেন একশ, রাজশাহীর তরমুজ একশ, যেইডা ইচ্ছা সেইডা নেন একশ, কাইট্টা নেন একশ’, ইফতারি খাইতে হইবো একশ-এমন নানা বাক্য বিনিময়ের মাধ্যমে ক্রেতাদের ডেকে তরমুজ বিক্রি করছেন যুব বয়সী এক তরমুজ বিক্রেতা। ১ এপ্রিল শনিবার বিকেলে এভাবেই ফরিদগঞ্জ পৌরসভার সামনের সড়কের এক পাশে ইফতারির আগমুহূর্তে মাঝারি আকারের প্রতিটি তরমুজ ১০০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে এক তরমুজ ব্যবসায়ীকে। রমজানে বিভিন্ন প্রকার ফল খাওয়ার ইচ্ছায় দামে কিছুটা কম হওয়ায় তরমুজ কিনছেন অনেক ক্রেতা। কেউ কেউ তরমুজের ভেতরে লাল হলে কিনবেন-এই শর্তে কিনছেন তরমুজ। যে কারণে পছন্দের তরমুজটি বেছে নিয়ে ব্যবসায়ীকে বলছেন কেটে দেয়ার জন্য, ভেতরে লাল আছে কিনা।
তরমুজ কিনতে আসা এক ক্রেতা এই প্রতিবেদককে জানান, তরমুজের আকৃতি অনুযায়ী একশ টাকায় মোটামুটি ভালোই তরমুজগুলো। খেতে ভালোই মিষ্টি, দাম সাধ্যের মধ্যে হওয়ায় ইফতারির জন্য কয়েকদিন পর পর আমি এই তরম্জুগুলো নেই। আরেক ক্রেতা জানান, তিনশ-চারশ টাকা দিয়া তো আমাগো তরমুজ কেনার সামর্থ্য হয় না, এইরম একটু কম দামে বেইচলে বছরে দুগা-ওগ্গা তরমুজ আমাগো কিছমতে হয়।
তরমুজ বিক্রেতা জানান, রাজশাহী থেকে আমারা তরমুজ এনে বিক্রি করি। এর আগের কয়েক ট্রাকে বড় সাইজের তরমুজ এসেছিলো। এই গাড়িতে মোটামুটি ছোট সাইজের তরমুজ আসায় আমরাও কম দামে বিক্রি করতে পারছি এবং সকল মানুষ মোটামুটি তরমুজ কিনছেন। তাছাড়া রমজানে ইফতারে যাতে সবাই তরমুজ খেতে পারে, তাই এখন ১২০/১৩০ নয়, সব তরমুজ একশ’ টাকাতেই বিক্রি করছি।