প্রকাশ : ২৬ মার্চ ২০২৩, ০০:০০
২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৫ মার্চ শনিবার দুপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুল হাসান।
তিনি বলেন, পাক হানাদার বাহিনী ওই সময়ে আমাদেরকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করেছে। ২৫ মার্চের কালরাতে আমাদেরকে সর্বশেষ পেরেকটি ঠুকেছিলো। আজকের আলোচনা সভার উদ্দেশ্য হচ্ছে বর্তমান প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস জানানো। সঠিক ইতিহাস জানতে আমাদের খুব কষ্ট হয়েছিলো। ২৫ মার্চের ঘটনার ইতিহাসও জানতে আমাদের অনেক বছর লেগেছে। ২৫ মার্চের ইতিহাস জানতে হলে তার গুরুত্ব সম্পর্কে জানতে হবে। ২০১৮ সালে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছি। তবে এখনও আমরা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাইনি। আশা করি অল্পসময়ের মধ্যে আমরা সেই স্বীকৃতি পেয়ে যাবো।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার মোঃ মিলন মাহমুদ বলেন, মার্চ মাসের প্রতিদিনের ঘটনা বলতে গেলে অনেক সময় লাগবে। কারণ মার্চের প্রতিটি দিনই খুব গুরুত্বপূর্ণ। বাঙ্গালিকে চিরতরে ধ্বংস করে দেয়ার জন্যেই ২৫ মার্চের কালরাত্রিতে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছিল পাকবাহিনী। তাদের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের শুধু মাটি থাকবে, কোনো মানুষ থাকবে না। ঢাকার কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ জায়গাকে লক্ষ্য করে তারা তাদের টার্গেট সাজিয়ে ছিলো। ৩৭টি গাড়ি নিয়ে প্রথম বহর বেরিয়ে ছিলো ঢাকার ওপর আক্রমণ করার জন্যে। পরে আরো গাড়ি জড়ো হয়ে আক্রমণ করে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায়। প্রথম আক্রমণ হয় রাজারবাগ পুলিশ লাইনে। পাক সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম আক্রমণ হয়েছিলো চামেলিবাগে। সেখানে রাজারবাগ পুলিশেরা থ্রি নট থ্রি রাইফেল দিয়ে সে সময়ের পাক সেনাবাহিনীর ওপর গুলি চালায়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইমতিয়াজ হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার, এনএসআইএ’র উপ-পরিচালক শাহ আরমান আহমেদ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াকুব আলী মাস্টার প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে শহিদদের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন কালেক্টরেট জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মোশাররফ হোসাইন ও গীতা পাঠ করেন বিশ্বজিৎ দাস।