প্রকাশ : ১৬ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০
নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (স্যাকমো) মোঃ হেলাল উদ্দিন। চেম্বার খুলে ফরিদঞ্জে শিশু, মেডিসিন, গাইনি, চর্মণ্ডযৌন ও বাত ব্যথা রোগের অভিজ্ঞ ডাক্তার পরিচয়ে কামতা বাজারের রওশন আরা মেডিকেল হলে দীর্ঘদিন যাবৎ রোগী দেখছেন।
জানা যায়, তিনি বিভিন্ন উপজেলায় দীর্ঘদিন উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার পদে চাকরি করেন। এক সময় তিনি ফরিদগঞ্জ উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার পদে মুন্সিরহাট ও কড়ৈতলি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চাকরি করেন। সে সময় তার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগের কারণে তাকে হাইমচর উপজেলায় এবং হাজীগঞ্জ উপজেলায় কয়েকবার বদলি করা হয়। কিন্তু তার চেম্বার করা বন্ধ না হওয়ায় তাকে হাতিয়া উপজেলায় বদলি করা হয়। গত তিনবছর ধরে তিনি সেখানে দায়িত্ব পালন করছেন। সেই সাথে ফরিদগঞ্জের ওই ফার্মেসিতে রোগী দেখেন। প্রতি শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পরিচয়ে তিনি রোগী দেখেন। প্রত্যেক রোগীর কাছ থেকে তিনি ভিজিট নেন ৩০০ টাকা।
হেলাল উদ্দিন বলেন, তিনি নাকি হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান খাদিজা রহমানের সাথে সমন্বয় করেই এখানে রোগী দেখছেন।
এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আশ্রাফ আহমেদ চৌধুরী জানান, এমবিবিএস এবং বিএমডিসির নিবন্ধনপ্রাপ্ত না হয়ে ডাক্তার পরিচয় দেওয়া আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সাবেক কর্মকর্তা নাজিম উদ্দিন জানান, হেলাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে এর আগেও এ ধরনের অভিযোগ উঠেছিল। তাকে আমরা সতর্ক করেছি এবং অঙ্গীকার নিয়েছিলাম ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ডে আর যেন লিপ্ত না হয়।
হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা খাদিজা রহমান জানান, আজকে আমি হেলাল উদ্দিনের খোঁজ করে তাকে পেতে ব্যর্থ হয়েছি। বিষয়টির সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ সাহাদাৎ হোসেন বলেন, ওনাদের রোগী দেখার অনুমতি আছে। সে ক্ষেত্রে শুধু প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে পারবে। কিন্তু নামের আগে ডাক্তার লিখতে পারবে না। এমবিবিএস ডিগ্রি ছাড়া কেউ নামের আগে ডাক্তার লিখতে পারবে না। সেটি করলে তা অপরাধ হবে। হেলালের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে তার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলোর সত্যতা যাচাই করা হবে।