মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  |   ১৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ২১ নভেম্বর ২০২২, ০০:০০

ফরিদগঞ্জে শীতের আগমনে ব্যস্ত লেপ-তোষকের দোকানদার ও কারিগর
এমরান হোসেন লিটন ॥

ফরিদগঞ্জ উপজেলার গ্রাম-গঞ্জে এখন চলছে শীতের আমেজ। তাই ক্রেতারা খুঁজতে শুরু করেছে লেপ-তোষক ও কম্বলের। নতুন লেপ-তোষক-কম্বল যেমন কেনা হচ্ছে, তেমনি পুরোনো লেপ-তোষক নতুন করে বানিয়েও নিচ্ছেন অনেকে। লেপ-তোষক-কম্বল বিক্রির দোকন ও তৈরির স্থানগুলোতে এমন দৃশ্য এখন নিত্যদিনের। কালের আবর্তে মোটা কাঁথার কদর কমলেও পুরনো দিনের ঐতিহ্যে তুলো-রুইয়ের তৈরি লেপের কদর কমেনি এখনো। শীতের উষ্ণতা ছাড়াতে লেপ ও কম্বলের জুড়ি নেই বলে মনে করেন সাধারণ মানুষ। সেই আদিকাল থেকেই এর ব্যবহার হয়ে আসছে।

জানা যায়, শীতের আগমনী বার্তায় ব্যস্ততা বেড়েছে বিভিন্ন লেপ-তোষক তৈরির কারিগরদের এবং লেপ কম্বলের রেডিমেড দোকানে। শীত জেঁকে বসার আগে লেপ-তোষক তৈরির ধুম লেগেছে সাধারণ মানুষের মাঝে। ফলে লেপ-তোষকের দোকানে বাড়ছে বেচা-কেনা। এসব দোকানের কর্মচারীদের এখন অলস সময় কাটানোর একদম সময় নেই।

ফরিদগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ও পাড়া-মহল্লায় লেপ-তোষক তৈরির কারিগররা এখন হাঁক-ডাক করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। অনেকে নিজেরাই গিয়ে লেপ-তোষক তৈরির কারিগরদের খুঁজে বের করে লেপ তৈরির জন্য ঠিক করছেন। তবে ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকা, কালিরবাজার, গৃদকালিন্দিয়া বাজার, রূপসা বাজার, মুন্সিরহাট, চান্দ্রা বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে লেপ-তোষকের দোকানদারদের সাথে কথা হলে কিছু কিছু দোকানদার বলেন, এখন আর এই ব্যবসা ভালো যাচ্ছে না। কারণ হিসেবে তারা উল্লেখ করেন, মানুষ এখন সৌখিনতাকে খুব মূল্যায়ন করে। তাই এখন তারা কম্বল এবং ডিজিটাল তোষকের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে উঠছে। আগামী কয়েক বছর পরে এই ব্যবসা হারিয়ে যাবার আশঙ্কা রয়েছে বলে তারা জানান।

শুধু লেপ-তোষক তৈরিই নয়, শীতের আগমনী বার্তার সঙ্গে মানুষের পোশাক-পরিচ্ছদ ও ব্যবহার্য সামগ্রীতেও পরিবর্তন আসতে শুরু করেছে। পাতলা পোশাকের পরিবর্তে অনেকেই মোটা জামার দিকে ঝুঁকছেন। তাই এখন কদর বাড়তে শুরু করেছে গরম পোশাকেরও। এছাড়া শীতের সময় কাঁথা, কম্বল, চাদর বা শাল, শীতের টুপি, হাতমোজা, মাফলার, জাজিম ও কার্পেটের ব্যবহার ও বিক্রি বেড়ে যায়। গত কদিন শীতের আমেজ বাড়তে দেখা যাচ্ছে, ভোরে হালকা কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে। সূর্য উঠার ঘণ্টা দুই পরেই আবার বদলে যাচ্ছে প্রকৃতির রূপ। তখন রোদের তাপে শীতের কুয়াশা দূর হয়ে গরমে ঘাম ঝরছে বিভিন্ন মানুষের। সন্ধ্যা নামার পরপরই প্রায় সারারাত মাঝারি শীতের কারণে ঘর-বাড়িতে শীত নিবারণের জন্য পাতলা কাঁথা ব্যবহার শুরু হয়েছে ইতোমধ্যেই। তবে বেশিরভাগ মানুষই শীত নিবারণে সাধারণত নির্ভর করেন লেপ-তোষকের ওপর।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, লেপ-তোষক বানাতে গার্মেন্টেসের ঝুট ও কার্পাস তুলো ব্যবহার করতে হয়। একটি সিঙ্গেল লেপ বানাতে ৭০০-৮০০ টাকা, সেমি-ডাবল লেপ ৯০০-১১০০ টাকা এবং ডাবল লেপ তৈরিতে ১০০০-২৫০০ টাকা খরচ হয়। এর মধ্যে রয়েছে সুতো, কাপড় ও মজুরি ব্যয়।

তবে তোষক বানানোর ক্ষেত্রে দাম বেশি পড়ে। তুলার মান, পরিমাণ, নারিকেলের ছোবলা ও কাপড়ের ওপর নির্ভর করে তোষক তৈরির ব্যয়। তবে আমাদের সকলের একটাই দাবি এই পেশায় যারা সম্পৃক্ত রয়েছে সরকার তাদের পাশে থেকে সহযোগিতা করবে বলে আশা সকলের।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়