প্রকাশ : ২৬ অক্টোবর ২০২২, ০০:০০
![মতলবে ঘরবাড়ি গাছপালা ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি](/assets/news_photos/2022/10/26/image-25070.jpg)
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে মতলব দক্ষিণ উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ঘর-বাড়ি, গাছপালা ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও টানা প্রায় ৪০ ঘন্টা বিদ্যুৎবিহীন থাকায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। তবে কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।
পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা যায়, গত রোববার বিকেল থেকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাব দেখা দেয়। ভোর রাত ঝড় বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বেড়ে গেলে জানমালের নিরাপত্তার জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়। মঙ্গলবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও বিদ্যুৎ সংযোগ সন্ধ্যা ৬টায় পাওয়া যায়। উপজেলার টিএন্ডটি, নলুয়া, বহরী, নাগদা, নায়েরগাঁও, কাচিয়ারা, কাশিমপুর ও নওগাঁও এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ঝড়ে গাছপালা ভেঙ্গে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মতলব শহরের টিএন্ডটি এলাকায় রাস্তায় গাছ কাটার কারণে প্রায় ৩ঘন্টা সড়ক বন্ধ ছিল। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ২০টি ঘরের টিনের চালা ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উড়ে গেছে।
মতলব দক্ষিণ উপজেলা পল্লী বিদ্যুতের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মোঃ শহিদুল ইসলাম জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে এ উপজেলায় ১৩টি খুঁটি ভেঙ্গে গেছে এবং প্রায় ৮০-৯০টি স্থানে গাছপালা ভেঙ্গে তারের উপর আছড়ে পড়েছে। এগুলো মেরামত করার কারণেই বিদ্যুৎ সংযোগ পেতে সময় লেগেছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় ৪৫ হেক্টর জমিতে শীতকালীন শাক-সব্জি ও ৪০ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের বীজ বপন করা হয়েছে। এছাড়াও প্রায় ৩ হাজার হেক্টর জমি আলু চাষের জন্য তৈরি করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে অতি বৃষ্টিতে জমিগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে। তবে শীতকালীন শাকসব্জির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফয়সাল মোঃ আলী বলেন, ঘূর্ণিঝড় চিত্রাংয়ের ফলে ফসলের ক্ষতির পরিমাণ ৩/৪দিন পর জানা যাবে। তবে সরিষা, ভুট্টা ও আলুর জমি ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতি হওয়ায় পুনরায় জমি তৈরি করতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেনু দাস জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে যে কয়টি ঘর-বাড়ির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তাদের তালিকা তৈরি করে ঘর নির্মাণে সরকারিভাবে বরাদ্দ দেয়া হবে।