প্রকাশ : ০৩ অক্টোবর ২০২২, ০০:০০
![২২ দিনের মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান বাস্তবায়নে জেলা টাস্কফোর্স কমিটির প্রস্তুতিমূলক সভা](/assets/news_photos/2022/10/03/image-24122.jpg)
জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান বলেছেন, ইলিশের প্রধান প্রজনন সংরক্ষণে এবার চব্বিশ ঘন্টাই নদীতে অভিযান অব্যাহত রাখা হবে এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নদীযুক্ত খালগুলোর মুখ বন্ধ করে দিতে হবে। প্রয়োজনে নৌকা থেকে ইঞ্জিন খুলে রাখতে হবে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি অভিযান হবে এবং যথাযথভাবে শক্তভাবে হবে। প্রশাসনের সকল বিভাগের সমন্বয়ে যৌথ অভিযান চালানো হবে। কোথায় বরফ বিক্রি করবে সেটাও আমরা মনিটরিংয়ে রাখবো। তিনি ২ অক্টোবর রোববার সকাল ১১টায় চাঁদপুরে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২২ বাস্তবায়ন বিষয়ক জেলা টাস্কফোর্স কমিটির প্রস্তুতিমূলক সভায় সভাপ্রধানের বক্তব্যে এসব কথা বলেন। জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোঃ মিলন মাহমুদ, বিপিএমণ্ডবার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইমতিয়াজ হোসেন, নৌপুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার মোঃ কামরুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল ও প্রেসক্লাবের সভাপতি গিয়াসউদ্দিন মিলন।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসানের পরিচালনায় সভায় মা ইলিশ রক্ষার বিভিন্ন পরামর্শ ও মতামত তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন ইলিশ গবেষণা কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আশরাফুল আলম, প্যানেল মেয়র ফরিদা ইলিয়াছ, কোস্টগার্ডের প্রতিনিধি ইমদাদুল হক, ইকোফিশ সিএফ চাঁদপুর সাইফুল আলম চৌধুরী, হাইমচর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুব রশীদ, চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমিতির সভাপতি আব্দুল বারী জমাদার মানিক, রাজরাজেশ্বর ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলী বেপারী, জেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি আঃ মালেক দেওয়ান, সাধারণ সম্পাদক মানিক দেওয়ান, ইব্রাহিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান কাশেম খান, চরভৈরবী ইউপি চেয়ারম্যান আহম্মদ আলী মাস্টার, আলগী দক্ষিণ ইউপি চেয়ারম্যান আঃ জলিল মাস্টার, মৎস্যজীবী নেতা তছলিম বেপারী, কান্ট্রিবোট ফিশিং মালিক সমিতির সভাপতি শাহ আলম মল্লিক, মতলব উত্তর মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি ওমর আলী প্রধান প্রমুখ ।
এ সময় জেলা টাস্কফোর্স কমিটির অন্য সদস্যবৃন্দ, বরফকল মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন। জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান বলেন, জোয়ারের সময় মেঘনা নদীতে যে ¯্রােত থাকে সেসময় অভিযান করা খুবই দুরূহ হয়ে পড়ে। চাঁদপুরের পাশাপাশি শরিয়তপুর, মুন্সিগঞ্জসহ অন্য যেসব জেলা রয়েছে সেসব জেলার সাথে সমন্বয় মিটিং করা হবে। ২২ দিন যদি আমরা অভিযানটা সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারি তাহলে চাঁদপুরের ইলিশের যে গৌরব সেটি আবার ফিরে আসবে। সিদ্ধান্ত হলো দুইটা। হয় অভিযান হবে, নয় অভিযান হবে না। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি অভিযান হবে। অভিযানে যার যার অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে হবে। তিনি বলেন, অভিযান সফল করার জন্যে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। মৃত মাছ ধরার মধ্যে আমাদের কোনো ক্রেডিট নেই। শরিয়তপুর ও মুন্সিগঞ্জ থেকে যেসব জেলে আসে তাদের উপর বিশেষ নজরদারি রাখতে হবে। অভিযান সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্যে যা যা করা দরকার আমরা তা-ই করবো।
সভায় পুলিশ সুপার মোঃ মিলন মাহমুদ, বিপিএম (বার) বলেন, মা ইলিশ ধরা হোক এটা আমরা কেউই চাই না। স্থানীয় নেতৃবৃন্দ যদি ঠিক মতো ভূমিকা রাখে তাহলে আমাদের কাজ অনেকাংশে সহজ হয়ে যাবে। স্থানীয়ভাবে যারা জেলেদের নেতৃত্ব দেয় তাদের তথ্য আমাদের দিন। যাতে আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারি।
জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ বলেন, আমাদের পক্ষে রাজনৈতিক চাপ থাকবে না। সঠিক সময় জেলেদের খাদ্য সহায়তা দিতে হবে।
সভায় মা ইলিশ সংরক্ষণ বাস্তবায়নে গত বছরের গৃহীত সিদ্ধান্ত সমূহ পর্যালোচনা করে এবারের আলোচনায় আরো নতুন নতুন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।