প্রকাশ : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০০:০০
![ফরিদগঞ্জে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিক্রিতে অনিয়ম](/assets/news_photos/2022/09/30/image-23999.jpg)
ফরিদগঞ্জে সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চাল বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ৩০ কেজির দাম নিয়ে গ্রাহকদের দিচ্ছে ২৫ কেজি। এই প্রতারণাটি সকলের অগোচরে চলে আসছে দীর্ঘদিন। সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায়, খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত হতদরিদ্রদের জন্যে স্বল্পমূল্যের ১৫ টাকা কেজি চালের প্রতি কার্ডধারীকে ৩০ কেজি চাল দেওয়ার বিধান থাকলেও সেখানে ডিলার দীর্ঘদিন ধরে ওজনে কম দিচ্ছেন বলে অভিযোগ কার্ডধারীদের। ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নে ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতিতে এই প্রতারণা করছেন সংশ্লিষ্ট ডিলার।
সরেজমিনে ২৮ সেপ্টেম্বর বুধবার পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নের পাইকপাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ডিলার খোরশেদ আলমের ছেলে সাইফুল ইসলাম খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণ করছেন। চাল বিতরণ সঠিকভাবে হচ্ছে কিনা এটা দেখতে কয়েকজন সংবাদকর্মী ডিলারের দোকানে প্রবেশের পূর্বেই দেখতে পান সেলিম নামের এক ব্যক্তি চাল নিয়ে যাচ্ছেন। সংবাদ কর্মীরা চালের পরিমাণ কম অনুভব করায় তাৎক্ষণিক সেলিমকে চাল ওজন করার জন্যে বললে তিনি পার্শ্ববর্তী মোর্শেদ আলমের হার্ডওয়্যার দোকানে চাল ওজন করে দেখেন ওই বস্তায় ২২ কেজি ৩শ’ ৩০ গ্রাম চাল রয়েছে। সাথে সাথেই ওই চালের বস্তা নিয়ে ভুক্তভোগী সেলিম ডিলারের দোকানে নিয়ে গেলে ট্যাগ অফিসার এবং সংবাদ কর্মীদের সামনেই চাল কম দেয়ার কথা বললে ডিলার খোরশেদ আলমের ছেলে সাইফুল ইসলাম তার চালের বস্তা ও কার্ড ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন এবং সেলিমের সাথে অশোভন আচরণ করে তার কার্ড বাতিলের হুমকি দেন।
এ সময় সংবাদ কর্মীরা চাল ওজনে কম দেয়ার বিষয়টি ট্যাগ অফিসার উপজেলা সমবায় অফিসার নাজমুন নাহারকে জিজ্ঞেস করলে তিনি সঠিক কোনো উত্তর দিতে পারেননি। এদিকে চালের বস্তাসহ চাল বিতরণ করার কথা থাকলেও বস্তা খুলে রেখে অন্য বস্তায় চাল দিচ্ছেন ডিলার।
ডিলার খোরশেদ আলমের ছেলে সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা খাদ্য গুদাম থেকে যেভাবে চাল পাই সেভাবে বিক্রি করছি। আপনাদের কোনো কথা থাকলে খাদ্য অফিসের সাথে কথা বলেন।
এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আফসার উদ্দিন ও ওসি এলএসডি ইমতিয়াজ বুলবুল সাকি বলেন, ডিলারদেরকে আমরা সঠিক নিয়মেই চাল পাঠিয়েছি। অভিযোগটি খতিয়ে দেখে খুব শীঘ্রই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাসলিমুন নেছা বলেন, আমি বিষয়টি দেখছি।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক কামরুল হাসানের কাছে জানাতে চাইলে তিনি জানান, সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চাল বিক্রি নিয়ে অনিয়মের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থাগ্রহণ করার জন্য বলেছি।
উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে ডিলার খোরশেদ আলমের ছেলে সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে চাল বিক্রিতে অনিয়মের একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে।