রবিবার, ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  |   ১৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ০৮ জুন ২০২২, ০০:০০

মতলব উত্তরে সাতবাড়িয়া কমপ্লেক্স কমিটি নিয়ে ক্ষুব্ধ ব্যক্তির কাণ্ড
মতলব উত্তর ব্যুরো ॥

মতলব উত্তর উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের সাতবাড়িয়া কমপ্লেক্সের কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক হতে না পারায় নবগঠিত সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজাহান বেপারীর বড় ভাই শাহআলমকে মারধর করেছে প্রতিপক্ষ। মারধরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী। ৫ জুন রোববার বিকেলে উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের সাতবাড়িয়ায় এ ঘটনা ঘটেছে।

এলাকাবাসী জানায়, সাতবাড়িয়া, নন্দলালপুর ও সুজানগরের কিছু অংশ নিয়ে সাতবাড়িয়া কমপ্লেক্স। এই কমপ্লেক্সে মধ্যে রয়েছে বায়তুল আমান জামে মসজিদ, ঈদগাঁ, নন্দলালপুর সাতবাড়িয়া আঞ্চলিক কবরস্থান ও নন্দলালপুর সাতবাড়িয়া গাউছিয়া নূরানী হাফেজিয়া মাদ্রাসা।

এই কমপ্লেক্সের কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ায় নতুন কমিটি গঠনের উদ্দেশ্য ৪ জুন শনিবার বিকেলে এলাকাবাসী সাধারণ সভার আয়োজন করে। এতে প্রায় ৪ শতাধিক লোকজন উপস্থিত ছিল। পরে সকলের সম্মতিক্রমে মাহবুবুর রহমান শান্তি সরকারকে সভাপতি করা হয়েছে।

সাধারণ সম্পাদক পদে ২ জন প্রার্থী ছিলেন। এরা হলেন গোলাম মোস্তফা এবং শাহজাহান বেপারী। কণ্ঠ ভোটে গোলাম মোস্তফা ৪ ভোট পান। আর বাকি প্রায় ৪শ’ ভোট পেয়ে মোঃ শাহজাহান বেপারী সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন।

কিন্তু গোলাম মোস্তফা এই কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হতে না পারায় হট্টগোল বাধায়। এতে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। পরের ৫ জুন রোববার বিকেলে নবগঠিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজাহান বেপারীর বড় ভাই শাহআলমকে নন্দলালপুর বাজারের যাওয়ার পথে পেয়ে পদ না পাওয়া মোস্তফা সরকার, তার ভাই মিজান সরকারসহ আরো কজন লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারধর করে। এতে শাহআলম আহত হয়ে মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় থমথম অবস্থা বিরাজ করছে। সন্ধ্যায় সাতবাড়িয়া কমপ্লেক্সের সামনে অভিযুক্ত মোস্তফা সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী। বিক্ষোভ শেষে স্থানীয় ইউপি সদস্য ফয়েজ আহমেদ বলেন, প্রায় ৩ বছর আগে কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে। তাই এলাকাবাসীর সমর্থনে নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। জনগণ যাকে চেয়েছে সেই নির্বাচিত হয়েছে। প্রতিপক্ষ নির্বাচিত হতে না পারায় এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

নবগঠিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজাহান বেপারী বলেন, মৃত আব্দুল গনির ছেলে মোস্তফা সরকার আমার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে গিয়ে তার ভাই মিজান সরকারসহ কজন মিলে আমার বড় ভাইকে নির্মমভাবে মারধর করেছে। আমি এই ঘটনার উপযুক্ত বিচার চাই।

আহত শাহআলম বলেন, মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ কুদ্দুস ও ইসলামাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাজেদুল হাসান বাতেনের ভগ্নিপতি। সে দীর্ঘ ৩৫ বছর এই কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক ছিল। কমপ্লেক্সের বহু টাকা আত্মসাৎ করেছে। এখন কমিটিতে থাকতে না পারায় আমাকে একা পেয়ে মোস্তফা সরকার, তার ভাই মিজান সরকারসহ কজন মিলে মেরে জখম করছে।

অভিযুক্ত গোলাম মোস্তফা সরকারের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে সংবাদ লেখা পর্যন্ত মামলা প্রক্রিয়াধীন ছিল।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়