প্রকাশ : ৩১ মে ২০২২, ০০:০০

মতলব উত্তর উপজেলার উত্তর দশানী এলাকায় বসতঘর ভাংচুর ও হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার ১১ আসামী আদালতে স্বেচ্ছায় হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেয়।
৩০ মে সোমবার দুপুরে চাঁদপুরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ কামাল হোসাইন এই আদেশ দেন।
কারাগারে প্রেরণকৃত আসামীরা হলেন- উত্তর দশানী, দক্ষিণ দশানী ও দক্ষিণ মিলারচর এলাকার সোহরাব সরকারের ছেলে মোঃ রাসেল সরকার, মৃত বোরহান উদ্দিন সরকারের ছেলে মোঃ সোহরাব সরকার, রেহান উদ্দিন সরকারের ছেলে মোঃ বাদল সরকার, কুতুবউদ্দিন সরকারের ছেলে মোঃ তাজল সরকার, মৃত নুরুল ইসলাম সরকারের ছেলে মোঃ আজহার সরকার, মৃত আব্দুস সামাদ মিজির ছেলে মোঃ সামীম মিজি, আব্দুল কাদির বেপারীর ছেলে সেন্টু বেপারী, বদিউল আলমের ছেলে উজ্জল, মোঃ বাচ্চু সৈয়ালের ছেলে শরীফ উল্যাহ ও এবায়েদ উল্যাহ এবং আব্দুর রকমান বেপারীর ছেলে মোঃ দ্বীন ইসলাম।
মামলার বাদী ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি হলেন উত্তর দশানী গ্রামের মৃত আব্দুল খলিল ভূঁইয়ার ছেলে মোঃ সাইফুল ইসলাম সুমন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, গত ২৮ মে দুপুর আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে মামলার ১নং বিবাদী সোবহান সরকার শুভার নির্দেশে ১৫ থেকে ২০ জন লোক সংঘবদ্ধ হয়ে বাদী সুমনের বসত বাড়িতে প্রবেশ করে হামলা-ভাংচুর করে ক্ষতিসাধন ও মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে যায়। হামলায় বাদীর স্ত্রীসহ বেশ ক’জন আহত হন। এই ঘটনায় সাইফুল ইসলাম সুমন ২৯ মে বাদী হয়ে মতলব উত্তর থানায় ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ১৫/২০ জনের নামে ১৪৩/৪৪৭/৪৪৮/৩২৩/৩২৬/৩০৭/৩৫৪/৩৭৯/৩৮০/ ৪৭২/৫০৬/১১৪ ধারায় অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় আসামীরা সোমবার স্বেচ্ছায় আদালতে হাজির হয়ে জামিনের জন্য আবেদন করেন। বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডঃ আব্দুল হান্নান কাজী।
মামলার বাদী সাইফুল ইসলাম সুমন জানান, ঘটনার দিন আসামীরা নদীতে থাকা আমার ফুফাতো ভাইয়ের একটি ড্রেজারে আগুন দেয়। এই সংবাদ জেনে আমরা ৪/৫জন আগুন নেভানোর জন্য নদীতে গেলে তারা আমাদেরকে ধাওয়া করে। সেখান থেকে আমরা বাড়িতে আসি। তারা বাড়িতে এসে আমাদের না পেয়ে বসতঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে। তাদের ভয়ে আমরা বাড়ির একটি পাকা বসতঘরে আত্মগোপনে ছিলাম। ওই সময় আমার স্ত্রীসহ ১০/১২জনকে পিটিয়ে আহত করে। আহতরা চিকিৎসা নিয়ে এখন বাড়িতে আছেন।