শুক্রবার, ০৭ মার্চ, ২০২৫  |   ১৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ০৭ মার্চ ২০২৫, ০২:৪৬

নতুন বিতর্ক: ছাত্রদের অভিযানের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার মন্তব্য

‘ছাত্রদের অভিযান’ নাকি বেআইনি তল্লাশি?

মো. জাকির হোসেন
‘ছাত্রদের অভিযান’ নাকি বেআইনি তল্লাশি?
ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা, ৬ মার্চ ২০২৫: গত বৃহস্পতিবার রাতে মিরপুর ডিওএইচএস এলাকায় একটি অভিযান চালানোর ঘটনা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। এই অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছেন শেখ তারেক জামিল তাজ, যিনি নিজেকে পল্লবী থানা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। অভিযানে তার সঙ্গে ছিলেন ২০ থেকে ২৫ জন ছাত্র।

তাদের দাবি ছিল, তারা সাবেক সংসদ সদস্য এম এ মোতালেবের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছিলেন, তবে অভিযানের সময় তারা বাসায় কাউকে পাননি। তবে ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছে, কারণ অভিযানের সময় বাসার মালিকসহ ডিওএইচএস পরিষদের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে তাদের আচরণ ছিল অত্যন্ত আক্রমণাত্মক। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, ছাত্ররা জোরপূর্বক বাসার ভিতরে প্রবেশ করে এবং সেখানে তল্লাশি চালানোর পরও কাউকে না পেয়ে বাসায় অবস্থান নেয়।

এদিকে, বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী একটি সংবাদ সম্মেলনে মন্তব্য করেন, ‘‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ছাড়া কোনো অভিযান চালানোর কারও এখতিয়ার নেই।’’ তিনি বাসাবাড়িতে হুট করে অভিযানের নামে লুটপাটের অভিযোগের প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘এ ধরনের অভিযান আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ছাড়া চলতে দেওয়া যাবে না।’’

তবে, ছাত্ররা তাদের অভিযানের সঠিকতা দাবি করে জানায় যে তারা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন, তবে পুলিশ তাদের পরে পৌঁছেছিল। অভিযানে অংশ নেওয়া শেখ তারেক জামিল তাজ প্রতিবেদককে বলেন, “আমরা কোনো অভিযান চালাইনি, এটা ছিল একটি অনুসন্ধানমূলক উদ্যোগ, এবং আমরা পুলিশকে জানিয়েই সেখানে গিয়েছিলাম।”

এ ঘটনায় পল্লবী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হুমায়ুন আহমেদ জানান, অভিযানের সময় পুলিশ উপস্থিত থাকলেও ছাত্ররা আগে থেকেই বাসার ভিতরে প্রবেশ করেছিল এবং কাউকে না পেয়ে ফিরে আসে। এসময়, পুলিশের হস্তক্ষেপের পরও কয়েকজন ছাত্র বাসায় থেকে যায়, তাদের মধ্যে তাজও ছিলেন।

অন্যদিকে, ঘটনাটি আরও জটিল হয়ে উঠেছে, কারণ তল্লাশি চালানোর পর সাবেক এমপি মোতালেবের অবস্থান জানা যায়, কিন্তু তিনি হাসপাতালে ভর্তি হলেও সেখানে পৌঁছানোর আগেই বেরিয়ে যান। তল্লাশির ফলশ্রুতিতে পরে তদন্তকারী দল ইউনাইটেড হাসপাতালে গিয়ে সাবেক এমপিকে খুঁজে পায়নি।

এমন পরিস্থিতিতে সবার কাছে প্রশ্ন উঠেছে, ছাত্ররা কীভাবে আইনের আওতায় না এসে একটি বাড়িতে অভিযান চালানোর সাহস পেলো? এবং সরকার, বিশেষ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, এই ঘটনায় কী পদক্ষেপ নেবে তা এখনো স্পষ্ট নয়।

স্বাস্থ্য ও আইনশৃঙ্খলার দিক থেকে, বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এমন ধরনের ঘটনাগুলি আইনগত বিপদ তৈরি করতে পারে এবং এর ফলে সমাজে উন্মত্ততা এবং নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি হতে পারে। সরকারিভাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সতর্ক করেছেন যে, এই ধরনের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পূর্ণ সহায়তা প্রয়োজন। তিনি ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার বিরুদ্ধে সতর্কতা অবলম্বন করার উপর জোর দিয়েছেন এবং জনগণকে সচেতন করার আহ্বান জানিয়েছেন।

ডিসিকে/এমজেডএইচ

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়