প্রকাশ : ০৭ মার্চ ২০২৫, ০৩:০২
শ্রীনগরে চর্ম ও ঠান্ডাজনিত রোগের ঔষধের তীব্র সংকট
বিপর্যয়ের মুখে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা

মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় চর্ম ও ঠান্ডাজনিত রোগের ঔষধের সংকট এখন স্থানীয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্য একটি মারাত্মক সংকট হয়ে দাঁড়িয়েছে। শীতের শেষপ্রান্তে এবং বসন্তের প্রথম দিকে, দিনের তীব্র গরম আর রাতের শীতের পরিবর্তন ঠান্ডাজনিত রোগের বিস্তার ঘটিয়েছে। স্থানীয় চিকিৎসকরা উদ্বেগ জানাচ্ছেন, ঔষধের অভাবে রোগীদের যথাযথ চিকিৎসা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে, যা শ্রীনগরের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি আরও বিপজ্জনক করে তুলছে।
|আরো খবর
স্থানীয় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ঠান্ডাজনিত রোগের চিকিৎসার জন্য সাধারণত প্রয়োজনীয় অ্যান্টি হিসটামিন জাতীয় ঔষধগুলো, বিশেষত ট্যাবলেট ও সিরাপ, বর্তমানে শ্রীনগর এলাকার অধিকাংশ ঔষধালয়ে নেই। চিকিৎসকরা জানান, এই ঔষধগুলোর সংকটের কারণে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা পরবর্তীতে অন্যান্য মারাত্মক রোগে পরিণত হওয়ার ঝুঁকি সৃষ্টি করছে। বিশেষ করে, চর্মরোগ এবং মুখের ঘা বাড়ায় এসব রোগের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত রিবোফ্লাভিন গ্রুপের ঔষধও বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না।
আর এন ফার্মেসির ঔষধ বিক্রেতা উত্তম দাস জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে চর্মরোগ এবং মুখের ঘার সমস্যা অনেক বেড়েছে। ফলস্বরূপ, এই রোগগুলোর ঔষধের চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে, কিন্তু ঔষধ কোম্পানিগুলো চাহিদা পূরণ করতে পারছে না। এছাড়া, পাইকারি বাজারে ঔষধের সরবরাহেও ঘাটতি দেখা যাচ্ছে, যার ফলে ঔষধের দাম বেড়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে, খুচরা বিক্রেতারা বেশি দামে ঔষধ কিনে, তা বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন, যা ক্রেতাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি এবং অসন্তোষ সৃষ্টি করছে।
দিপু ফার্মেসির মালিক দিপু জানান, ঔষধের সংকট ও দাম বৃদ্ধি নিয়ে ক্রেতাদের সাথে মাঝে মাঝে বিরোধ দেখা দিচ্ছে। তবে তিনি আশাবাদী যে, শীঘ্রই পরিস্থিতির উন্নতি হবে, কারণ বৈরী আবহাওয়া কেটে গেলে ঔষধের সরবরাহ কিছুটা স্বাভাবিক হবে।
স্থানীয় জনগণ এবং চিকিৎসকরা দ্রুত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সুরক্ষিত করার জন্য ঔষধ সরবরাহের ত্বরিত ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। যদি এই সংকট দ্রুত সমাধান না হয়, তবে শ্রীনগর এলাকায় জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা একটি বড় বিপর্যয়ের দিকে এগিয়ে যেতে পারে, এমন আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ডিসিকে/এমজেডএইচ